জয়পুরহাটে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি, দুর্ঘটনার ঝুঁকি

শামীম কাদির, জয়পুরহাট
| আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২২ | প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৭

সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে জয়পুরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার। এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। ওষুধের দোকান, পানের দোকান, মুদিদোকান ও কাপড়ের দোকানেও চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি।

সরেজমিন জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চলের হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিন শতাধিক দোকানে দেদারসে চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। অথচ জেলায় এলপি গ্যাস ব্যবসার জন্য লাইসেন্স রয়েছে একশটির মতো।

রাজশাহী বিভাগীয় বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্র জানায়, সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল এলপি গ্যাস বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না।

২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করেন, তবে তার তিন বছরের কারাদ- এবং অতিরিক্ত অর্থদ-ে দ-িত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সমস্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে। কিন্তু এই আইন কেউই মানছেন না।

জয়পুরহাটের খঞ্জনপুর এলাকার বাদশা চৌধুরী, আরাফাতনগর এলাকার শীতল চন্দ্র, নতুনহাট এলাকার সোহেল হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি ঢাকা টাইমসকে জানান, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার। নজরদারি না থাকার কারণে যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি। এতে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

লাইসেন্সধারী গ্যাস বিক্রেতা মাসুম ট্রেডার্সের আবদুল্লাহ্ আল মাসুম ও সিথি ট্রেডার্সের শওকত জামান জানান, গ্যাস সিলিন্ডার অনেকটা বোমার মতো। গ্যাস বিক্রি করতে হলে অবশ্যই পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা না হলে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারবে না। তারা আরও বলেন, বিস্ফোরক লাইসেন্স নিতে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু অবৈধ ব্যবসায়ীদের কারণে বৈধ ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে গেছে।

জয়পুরহাট জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর মাহবুবউজ্জামান মানিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, লাইসেন্স ছাড়া যারা ব্যবসা করছেন, তাদের আমরা লাইসেন্স করতে বলছি। এ ছাড়া লাইসেন্স ছাড়া গ্যাস ব্যবসায়ীদের সিলিন্ডার না দিতে ডিলারদের নির্দেশ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া এলপি গ্যাস সিলিন্ডার যারা বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে শিগগির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গেল এক বছরে জেলায় ৩০টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এমনকি গত জানুয়ারি মাসেও ক্ষেতলাল উপজেলার মুন্দাইল ও জয়পুরহাট পৌর এলাকার হাউজিং এস্টেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ভর্তুকি কমানোর পদক্ষেপ জানতে চায় আইএমএফ

ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসারদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা

বাপেক্স ও এস.সি ইউরো গ্যাস সিস্টেমস এস.আর.এল রোমানিয়ার মধ্যে চুক্তি

সোনার দাম কমলো ভরিতে ২১৩৯ টাকা

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর নতুন ৫টি কালেকশন বুথের উদ্বোধন

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন নুরুল ইসলাম মজুমদার

প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবু জাফর

সোনালী লাইফের অফিস ভাড়াকে ভবনের ক্রয়মূল্যের অগ্রিম পরিশোধ দেখানোর দাবি

ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ডিভাইস বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :