কাতারে আলনূর কালচারাল সেন্টারের স্মরণসভা

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৪

সদ্য প্রয়াত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত আলেম আল্লামা ওয়াজেহ নদভি এবং বাংলাদেশের তরুণ আলেম মাওলানা শাহাদাত ফয়সাল স্মরণে কাতারে আলোচনাসভা করেছে আলনূর কালাচারাল সেন্টার।

৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দোহার বিন জায়েদ সেন্টারে আলনূর কালচারাল সেন্টার আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আলনূর মহাপরিচালক প্রকৌশলী শোয়াইব কাসেম আর উপস্থাপনায় ছিলেন জিয়াউদ্দিন।

আলোচনায় অংশ নেন আলনূর নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর, গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনুল হক, নির্বাহী সদস্য মাওলানা নূরুল আমিন ও মাওলানা নাইমুদ্দিন । উপস্থিত ছিলেন হাফেজ লোকমান, প্রকৌশলী মনিরুল হক ও প্রকৌশলী বুলবল আহমদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন আলাউদ্দিন ও মোনাজাত করেন মাওলানা আবুবকর । সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাওলানা ক্বারী ইব্রাহিম।

আল্লামা ওয়াজেহ রশিদ নদভীর বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর আলোকপাত করে মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, তার জন্ম ১৯৩২ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশস্থ রায়বেরেলির তাকিয়াকিলা গ্রামে। তিনি ছিলেন রাসুল দৌহিত্র হজরত হাসান রা.-এর বংশধর ও বালাকোট জিহাদের সেনাপতি সাইয়েদ আহমদ বেরলভীর উত্তরাধিকার । ধর্মীয় ঐতিহ্য ও আল্লাহভীতিতে তার পরিবার ও বংশ প্রবাদতুল্য। বিশ্ববরেণ্য দায়ী আল্লামা সায়্যিদ আবুল হাসান আলি নদভির স্নেহ-মমতায় তিনি গড়ে ওঠেছেন।

ইসলামি জাগরণ, ঈমানি চেতনাবোধ, শিক্ষা-সংস্কৃতি, চিন্তা-গবেষণা, মার্জিত রুচিবোধ, শৈল্পিক-মাধুর্যপূর্ণ ভাবনা, আরবি-উর্দু রচনাশৈলীতে ছিলেন আলি নদভির অবিকল নমুনা। ইংরেজিতেও ছিলেন সমান দক্ষ। প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন পারিবারিকভাবেই। ইসলামি ও আরবিভাষা শিক্ষা লাভ করেন লখনৌর দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামায়। এরপর আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সটি থেকে ১৯৫২ সালে ইংরেজিতে অনার্স সম্পন্ন করেন। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে আরবি বিভাগের উপস্থাপক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু। ১৯৭৩ সালে তিনি দারুল উলূম নদওয়াতুল উলামায় শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। এ-সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন তিনি। বড় বড় বিভিন্ন দায়িত্বও পালন করেছেন। নদওয়ার আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ডিন, ইসলামি দাওয়া ইনস্টিটিউটের প্রধান হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া আরবি ও উর্দু ভাষায় গবেষণাধর্মী রচনাকর্মও অব্যাহত রাখেন।

মাওলানা শাহাদাত হুসাইন খান ফয়সালের জ্ঞানদীপ্ত কর্মময় জীবন প্রসঙ্গে মাওলানা নাইমুদ্দিন বলেন, আলোকিত জ্ঞানী ২০১৫ এর চ্যাম্পিয়ন, বিশিষ্ট ইসলামি আলোচক, লেখক, গবেষক এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ছিলেন শাহাদাত হুসাইন খান ফয়সাল। হাজার হাজার হাদিস একত্রিত করে অনলাইন জগতে অ্যাপস আকারে বাংলা ভাষাভাষীদের সামনে তুলে ধরার পেছনে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের মধ্যে শাহাদত ফয়সাল ছিলেন অন্যতম।

(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

প্রবাসের খবর এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :