লিটলম্যাগে সাড়া নেই পাঠকদের

আল আমিন রাজু
 | প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৩

অমর একুশে বইমেলার নয় দিন শেষ হয়ে গেল গতকাল। প্রতিদিনই ব্যস্ততা বাড়ছে প্রকাশকদের। আসছে নতুন বই, বাড়ছে বিক্রি। পাঠকরা আসছেন প্রিয় লেখকের নতুন বই সংগ্রহের উদ্দেশে।

গতকাল ছুটির দিনে বইমেলার স্টলগুলোর সামনে তিল ধারণেরও যেন জায়গা ছিল না। কিন্তু ব্যতিক্রম চিত্র বইমেলার বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের পেছনে বয়রাতলার লিটল ম্যাগ স্টলগুলোতে।

সাহিত্য সৃজনের এ শাখাটির চর্চা বাংলাদেশে মূলত ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়। সে সময় অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও মুস্তাফা নূর-উল ইসলামের মতো খ্যাতিমান লেখকরা লিটলম্যাগ প্রকাশ করেন। সেসব লিটলম্যাগ একটি বিশেষ শ্রেণির কাছে জনপ্রিয়ও হয়ে ওঠে।

তবে বরাবরের মতো এ বছরও পাঠকখরায় শুনশান নীরবতা চলছে এই চত্বরে। এ নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশকদের।

তারা মন্তব্য করেন, ‘লিটল ম্যাগাজিন বাংলা সাহিত্যের একটি ভিন্নধারার আন্দোলন। তাই এই আন্দোলনে যারা নিজেদের সম্পৃক্ত করতে চান তারা আগ্রহ নিয়ে আমাদের কাছে আসবেন এবং আমাদের এই ধারার সঙ্গে মিশে যাবেন।’

বিভিন্ন সাহিত্য আন্দোলন এবং সামাজিক সংগঠন থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন ম্যাগাজিন নিয়েও প্রতিটি স্টল সেজেছে। বই আছে, পাঠক নেই। লেখক আছে, বিক্রি নেই। লিটলম্যাগ স্টলে পাঠকখরা নিয়ে জেলা গাইবান্ধার শব্দ প্রকাশনীর প্রকাশক-লেখক সরজ দেব ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন বাংলা সাহিত্যের একটি অন্যধারার আন্দোলন। ৬ দশক ধরে চলা এ আন্দোলনের সাথে যারা সম্পৃক্ত হতে চান, তারা আমাদের খুঁজে নেন। আমরা কারও কাছে সাহিত্যের দাওয়াত নিয়ে যাই না। আমাদের মানুষ খুঁজে নেন।’

‘এই ধারায় প্রত্যেক লেখকের আলাদা আলাদা চিন্তাভাবনা এবং নতুনত্ব রয়েছে। তারা তাদের ধারায় লিখে নিজেদের বই নিজেরাই বিক্রি করছেন।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :