তাড়াইলে ইসলাহি ইজতেমায় উম্মাহর শান্তি কামনা

প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৬ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২১

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের আহ্বানে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে চার দিনব্যাপী ইসলাহি ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।  

রবিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের বেলঙ্কা-ইছাপশর, জামিয়াতুল ইসলাহ ময়দানে চার দিনব্যাপী ইজতেমা সম্পন্ন হয়।

আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়াতি বয়ানে আল্লামা মাসঊদ বলেন, ‘নারীকে আমরা সম্মান করতে জানি না। নবীজী ঘরের কাজও করে দিতেন তিনি। নারীর ওপর আমাদের সহমর্মী হতে হবে। জিকিরের শব্দ ঘরেও পৌঁছে দিতে হবে।’

পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দ ‘আল্লাহ ও আল্লাহর নামের জিকির’ উল্লেখ করে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘আল্লাহ নামের জিকিরের স্বাদ, আল্লাহ নামের স্বাদ কখনো কমে না, বরং যত বেশি বেশি করবে তত স্বাদ বৃদ্ধি পাবে। আল্লার নামের জিকিরে কখনো বিরক্তিও আসো না। যে ব্যক্তি যত বেশি জিকির করবে সে আল্লাহ কাছে তত প্রিয় হতে থাকবে। দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহ ও আল্লাহর নামের জিকিরের চাইতে মধুর কোনো শব্দ নেই।’

প্রত্যেকটা নেক কাজের আলাদা আলাদা সুগন্ধি আছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানুষ যখন কোন নেক কাজ করে, তখন এই নেক কাজের সুগন্ধি ছড়ায়। আমাদের নাক বন্ধ তাই আমরা পাই না। কিন্তু ফেরেশতারা এই নেক কাজে সুগন্ধি পায়। তারা এই সুগন্ধি পেয়ে আল্লাহ কাছে দোয়া করে- ‘হে আল্লাহ তোমার অমুক বান্দা নেক কাজ করে আমাদেরকে সুগন্ধি দিয়েছে। আমাদেরকে শান্তি দিয়েছে। তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও। তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দাও।’

চার দিনব্যাপী ইসলাহি ইজতেমায় আলোচনা করেন ভারতের মাওলানা আফফান মনসুরপুরী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, মুফতি আবদুল কাইয়ুম খান, মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, মুফতি তাজুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী, মুফতি ইবরাহীম শিলাস্থানী, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা রশিদ আহমদ মকবুল, মাওলানা আবদুল হালিম ডাম্পালী, মাওলানা উবায়দুর রহমান ফরিদী, মাওলানা মঈনুল হক চৌধুরী, মাওলানা হোসাইন আহমদ বাহুবলী প্রমুখ।

এ বছর মাদানি সিলসিলার খেলাফত লাভ করেছেন মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী, মাওলানা মুশাররফ হোসাইন ও মাওলানা হাবিবুর রহমান।

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/জেবি)