‘মুক্তিপণ নিতে বাধা দেয়ায় মামুনকে হত্যা’

যশোর প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৪৭

‘যুবক-যুবতীকে আটক করে মুক্তিপণ নিতে বাধা দেয়ায় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে উপর্যুপরিভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ রবিবার বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ এজাহারভুক্ত চারজনকে আটক করেছে।

আটকরা হলেন- শহরের ঘোপ এলাকার সুজন ওরফে ছোট সুজন, শেখহাটি খাঁপাড়ার তামিম, শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার ফয়সাল, সুমন।

আটকরা পরিকল্পিতভাবে মামুনকে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যশোর সদর উপজেলার বাবলাতলা কালীতলা এলাকার বাপ্পা শনিবার বিকালে একটি মেয়েকে নিয়ে শহরতলী শেখহাটির তারা মসজিদ জোড়া পুকুর এলাকায় যায়।

সেখানে পৌঁছানোর পর সাগর, ফয়সাল, ইমন, মঞ্জিল, সুমনসহ তাদের সহযোগীরা বাপ্পা ও মেয়েটিকে একটি ঘরে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় মোবাইলে বাপ্পা তার বন্ধুদের বিষয়টি জানালে নিহত মামুন ও বন্ধু আরিফ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় সাগরগ্রুপ মামুন ও পরে আরিফকে ছুরিকাঘাত করে। ঠেকাতে এলে এসময় সাগরের মা শেফালিও ছুরিকাহত হন।

স্থানীয়রা মামুন ও আরিফকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার রাতেই যশোর সদর উপজেলার ঘোপ ছাতিয়াতলা এলাকা থেকে সুজন, তামিম, ফয়সাল ও সুমনকে আটক করা হয়। আটকরা হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে এবং ঘটনার সাথে সাগর, ইমন, মঞ্জিল, হৃদয়, খানজাহানসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ৫/৬ জন ছিল। আর আটকরা সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তি দেবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনসার উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল গোলাম রব্বানী ও যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান।

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :