জনস্বার্থে কোটি টাকার জমি ছাড়ল সাবেক স্পিকারের পরিবার

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৬

সিলেট প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

সিলেট মহানগরীতে সড়ক প্রশস্তকরণসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তার এই কর্মযজ্ঞে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসছেন নগরবাসীও। এরই উদাহরণ সড়ক বর্ধিত করতে সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর পরিবারের জনস্বার্থে কোটি টাকা মূল্যের জমি ছাড় দেয়া।

সিলেট নগরের কেন্দ্রস্থল হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর দরগাহ গেট থেকে আম্বরখানা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করতে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের জমি ছাড়ে পরিবারটি।

এর আগে এমন পরিমাণ টাকার জমি ছাড় দিয়েছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পরিবার। নগরের ধোপাদীঘির পূর্বপার এলাকায় অবস্থিত মুহিতের পরিবারের বাড়ি ‘হাফিজ কমপ্লেক্স’ প্রায় এক কোটি টাকার জমি মেয়রের আহ্বানে ছাড় দেওয়া হয়। পরে সেখানে সড়ক বর্ধিত করার কাজ শুরু হয়।

সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, রবিবার সকালে মেয়র দরগাহ গেট এলাকায় প্রয়াত স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বাড়ি ‘রশীদ মঞ্জিলে’ গিয়ে তার ভাতিজা ইমরান রশীদ চৌধুরীর কাছে জনস্বার্থে সড়ক বড় করার জন্য জমি ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেন। মেয়র সিটি করপোরেশনের সড়ক বর্ধিত করার প্রকল্পের নকশা উপস্থাপন করলে ইমরান রশীদ চৌধুরী বাড়ির ৫ ফুট করে ১১০ ফুট জমি ছেড়ে দিতে রাজি হন।

পরে তাকে সঙ্গে নিয়েই মেয়র বাড়ির প্রধান ফটকের দেয়াল ভাঙার কাজের সূচনা করেন।

সিলেট নগরের আম্বরখানা মোড়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সুনামগঞ্জ সড়ক, তামাবিল মহাসড়ক, বিমানবন্দর সড়কসহ নগরের কেন্দ্রস্থলের অন্যান্য সড়ক আম্বরখানা মোড়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।

রশীদ মঞ্জিল সড়কের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ায় আম্বরখানা মোড়ের সঙ্গে সংযোগ হওয়া সব রাস্তা সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত অসুবিধা দূর হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের সড়ক বর্ধিতকরণ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এ সময় সিটি করপোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তানভীর আহমদসহ স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

জনস্বার্থে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা তাদের মূল্যবান জমি ছেড়ে দেওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরিফুল হক চৌধুরী। মেয়র বলেন, ‘এই পরিবার সিলেটের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার। তাদের প্রতি সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রয়েছে। বাড়ির যে জমি তারা ছাড় দিয়েছেন, তা এককথায় অমূল্য। এ রকম পজিশনে জমি কিনতেও পাওয়া যায় না। জনস্বার্থে তাঁরা মূল্যবান জমি ছেড়ে দিয়ে অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।’

একটি আধুনিক সিলেট নগরী গড়তে নগরবাসীর সহযোগিতা চান আরিফুল।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী একজন প্রখ্যাত কূটনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১ তম অধিবেশনে সভাপতিত্বও করেন তিনি। সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসন থেকে তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের ১০ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/বিইউ/এমআর)