মানিকগঞ্জে দুই এসআইয়ের ‘ধর্ষণ’ তদন্তে কমিটি

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫৭

মানিকগঞ্জ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মানিকগঞ্জে দুই এস আইয়ের বিরুদ্ধে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে কমিটি করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিম।

সোমবার বেলা আড়াইটায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন পুলিশ সুপার। জানান, এই ঘটনা তদন্তে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান ও ডিএসবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দিকীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে। তারা ইতিমধ্যে ওই তরুণী এবং এর সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্তে প্রযুক্তির ব্যবহার নেয়া হচ্ছে। অপরাধ করলে কোনোভাবে ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই।

রবিবার সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক তরুণী।

ওই তরুণী জানান, সেকেন্দার হোসেন তার খালার কাছে পাঁচ বছর আগে এক লাখ টাকা নেন। দীর্ঘদিন ধরে চেয়েও টাকা পাওয়া যাচ্ছিল না। পাওনা আনতে বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে খালার সঙ্গে সাটুরিয়া থানায় যান তিনি। পরে দুই জনকে নিয়ে সাটুরিয়া ডাক বাংলোতে যান সেকেন্দার। কিছুক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত হন আরেক এএসআই মাজহারুল ইসলাম।

দুই জনকে আলাদা কক্ষে আটকে রাখা হয় বাংলোতে। এক পর্যায়ে ওই তরুণীকে ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়। পরে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আটকে রেখে তাদের দুই জনকে ডাকবাংলো থেকে বের করে দেয় তারা।

রবিবার দুপুরে ওই তরুণী মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর দুই এসআইকে থানা থেকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।