টাকা চেয়ে না পাওয়ায় ভাবিকে হত্যা

চট্টগ্রামে দেবরের হাতে ভাবি খুন হয়েছেন। নিহতের নাম হাসিনা বেগম। ভাবির কাছে টাকা চেয়েছিলেন দেবর ফরহাদ হোসেন লিমন, কিন্তু পায়নি। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে ভাবিকে খুন করে স্বর্ণালঙ্কারসহ দামি জিনিসপত্র নিয়ে যান তিনি। এরপর এ ঘটনাকে চুরি হিসেবে প্রমাণের চেষ্টাও চালান তিনি। সোমবার দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। পুলিশ লিমনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে।

রিমান্ডে অভিযুক্ত লিমন জানান, ‘নিয়মিত ভারতীয় ধারাবাহিক ‘ক্রাইম পেট্রোল’ দেখত সে। ক্রাইম পেট্রোলে বিভিন্ন হত্যার কেস স্টাডিগুলো দেখানো হয়। সেখান থেকে দেখে ভাবিকে খুন করে এ ঘটনাকে চুরি হিসেবে সাজাতে চেষ্টা করে।’

আমেনা বেগম জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে হাসিনা বেগমকে হত্যা করে ফরহাদ হোসেন লিমন। পরে হাসিনা বেগমের মরদেহ বাসার বাইরে আরেকটি কক্ষে তালা মেরে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাসিনা বেগমের ভাই মানিক আকবর শাহ থানায় মামলা করেন।

আকবর শাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিবুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ফরহাদ হোসেন লিমনকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। রিমান্ডের প্রথম দিনেই লিমন তার ভাবিকে হত্যার কথা স্বীকার করে।’

তিনি বলেন, ‘লিমন জানিয়েছে- দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে এ হত্যা ঘটিয়েছে সে। হত্যার দিন হাসিনা বেগমের বাসায় টিভি দেখার কথা বলে প্রবেশ করে। পরে রাতে ঘুমিয়ে গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী হাসিনা বেগমকে খুন করে মরদেহ লুকিয়ে রাখে এবং স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়।’ হাসিনা বেগম নোয়াখালীর শফিগঞ্জ এলাকার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মেয়ে। তিনি আকবর শাহ থানার কালির হাট ১নম্বর গলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। আসামি লিমন চাঁদপুরের পাইকপাড়া এলাকার আবুল কাশেম পাটোয়ারীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পাহাড়তলী জোন) পংকজ বড়ুয়া, আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/এলএ)