রাজীব-দিয়ার মৃত্যুর মামলায় তদন্তকারীর সাক্ষ্য শুরু

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৪

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়ার মৃত্যুর মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছে আদালত।

ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের এসআই রিয়াদ আহমেদ মামলাটি প্রথম তদন্ত করেন। সোমবার তিনি তার তদন্তের বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। এদিন এ সাক্ষীর আংশিক জেরার হওয়ায় পর আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, এ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর শেষ সাক্ষী হিসেবে চার্জশিট দাখিলকারী তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

মামলাটিতে গত বছর ৪ নভেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর মাত্র ১৪ কার্যদিবসে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে মোট ৪১ জন সাক্ষী রয়েছেন।

মামলাটিতে আসামি জাবালে নূরের ঘাতক বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ, হেলপার এনায়েত হোসেন ও চালক  জোবায়ের সুমন কারাগারে রয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি বাস মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার  আসাদ কাজী পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর আসামি ঘাতক বাসের মালিক শাহদাত হোসেন আকন্দের অংশের বিচার হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।

মামলায় গত বছর ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশ।

মামলায় বলা হয়, গত বছরের ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের দুটি গাড়ি বেপরোয়াভাবে চালিয়ে একটি বাস জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢালে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন ছাত্রছাত্রীর উপর তুলে দেয়। যার কারণে ১৩/১৪ জন ছাত্রছাত্রী গুরুতর আহত হয়। যাদের মধ্যে উক্ত কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়। গত ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/আরজেড/জেবি)