ইসরায়েলে বিনিয়োগ করা জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ: টোটালের প্রধান নির্বাহী

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইসরায়েলে বিনিয়োগ করা খুবই জটিল বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের জ্বালানি কোম্পানি টোটালের প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক পুইয়ান। তার এই বক্তব্যের পর ইহুদিবাদী নেতারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। খবর বিবিসির।

টোটালের প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক পুইয়ান সম্প্রতি ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইসরায়েল এতটা বড় নয় যে সেখানে বিনিয়োগের জন্য নানা ধরনের ঝুঁকি নেয়া যায়। ইসরায়েলের পরিস্থিতি খুব বেশি জটিল হওয়া ছাড়াও (মধ্যপ্রাচ্যে) ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাসহ নানা কারণে ইসরায়েলে বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন। খবর পার্সটুডের।

প্যাট্রিক পুইয়ান পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যে টোটালের নানা বিনিয়োগকেও ইসরায়েলে এই কোম্পানির বিনিয়োগের পথে বড় বাধা হিসেবে তুলে ধরেন।

ইসরায়েলের জ্বালানীমন্ত্রী ইউভাল স্টেইনিৎজ টোটাল-প্রধানের এই মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, গুগল, লকহিড মার্টিন ও বোয়িং ইসরায়েলে বিনিয়োগ করায় আরব বিশ্বে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়নি। কেউ ইরানের প্রতি আগ্রহী হলেই কেবল ইসরায়েলে বিনিয়োগ এড়াতে চাইতে পারে বলে ইসরায়েলি মন্ত্রী মন্তব্য করেন।

ইসরায়েলের গ্যাস ফিল্ডগুলো পরিচালনার জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ দরকার। কিন্তু ফ্রান্সের টোটাল কোম্পানি ছাড়াও গ্যাস খাতের বড় বড় অন্য বিনিয়োগকারীরাও ইসরায়েলে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে। কারণ এ অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই অনিশ্চয়তাপূর্ণ।

গ্যাস খনি নিয়ে লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরোধ রয়েছে। গত বছর লেবানন তার নয় নম্বর ব্লকসহ কয়েকটি জ্বালানি ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনের জন্য ফ্রান্সের টোটাল, ইতালির ইনি ও রাশিয়ার নোভাটেক তেল-গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। লেবাননের ৯ নম্বর গ্যাস-ব্লকের মালিকানা নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে।

টোটাল ২০১৭ সালে ইরানের একটি গ্যাস ব্লকের উন্নয়নের জন্য কয়েকশত কোটি ডলার মূল্যের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করলেও মার্কিন সমর্থনের অভাবে কয়েক মাস পরই ওই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসে। অবশ্য এখন সেখানে টোটাল কোম্পানির পরিবর্তে কাজ করবে চীনের সিএনপিসি।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/এসআই)