কেয়ামত পর্যন্ত বিএনপি অভিযোগ করবে: কাদের

কেয়ামত পর্যন্ত বিএনপি অভিযোগ করে আসবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখন দেখে নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা নাই, তখন তারা এক তরফা নির্বাচনের অভিযোগ করে। এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’

সোমবার নির্বাচন ভবনে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বলেন, ‘বিএনপি যখন মনে করে কোনো নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা নেই, তখন তারা এই ধরণের অভিযোগ করে। রোজ কেয়ামত পর্যন্ত তারা অভিযোগ করবে।’

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার বিষয়ে কাদের বলেন, ‘তারা নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে যায়। নির্বাচন হওয়ার আগেই তারা নির্বাচন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে। বিরূপ মন্তব্য করা, নালিশ করা তাদের পুরনো অভ্যাস। যেসব নির্বাচনে তারা নির্বাচিত হয়েছে, সেসব নির্বাচনেও তারা দেখা গেছে ফলাফল হবে, গণনা চলছে, তখনও জালিয়াতির কথা বলে। এটা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। এটা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। এটা হাস্যকর হয়ে গেছে।’

‘তাদের নালিশের কোনো বাস্তবতা, সত্যতা নেই। দেশে-বিদেশে নির্বাচনকে (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) তারা প্রশ্নবিদ্ধ কারার অপচেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। সারা দুনিয়া এই নির্বাচনকে অভিনন্দন জানিয়েছে।’

একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ জিতে যাচ্ছে বলে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘গতবারের উপজেলা নির্বাচনেও প্রথম ধাপে বিএনপি এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ধাপেও তারা ব্যালেন্স ছিল। তারা এখন নির্বাচনে অংশ নেবে না, কারণ তারা জানে জাতীয় নির্বাচনে যে ভরাডুবি হয়েছে, তাতে উপজেলা নির্বাচনে আরো শোচনীয় অবস্থা হবে। এই ভয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।’

সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ত্যাগী এবং তৃণমূলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘আমরা অনেক সময় নিয়েছি। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় কয়েকজনের নাম তিনি আমায় লিখে রাখতে বলেছিলেন। অনেককে সেখানে আমার নিতে পারিনি, সেখানেও দুচার জন সিলেক্টেড হয়েছে। অনেক যাচাই-বাছাই করা হয়েছে।’

‘দে আর অল ব্রিলিয়ান্ট (মেধাবী), পোলাইট (ভদ্র), কমিটেড (আন্তরিক) এবং ডেডিকেটেড (অন্তঃপ্রাণ) আমাদের দলের প্রতি। দেশ মুক্তিযুদ্ধের প্রতিও তারা কমিটেড। আন্দোলন সংগ্রামে তাদের যে ত্যাগী ভূমিকা, সেটা আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, অগ্রধিকার দিয়েছি।’

‘আমাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনার) সক্রিয় মতামতের ভিত্তিতে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মীরা এবং মুক্তিযুদ্ধের পরিবার, এছাড়া সব অঙ্গণের প্রতিনিধি এখানে আছে। কালচারাল এরিনা থেকে শুরু সকল পর্যায় থেকে নিয়েছি।’

ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/জেআর/ডব্লিউবি