ইডেনের সাবেক অধ্যক্ষকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:০৭ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ।

সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সোহেল মাহমুদ বলেন, নিহত মাহফুজাকে একাধিক ব্যক্তি মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। তার নাকে রক্ত ও গলায় ওড়নার ছাপ রয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউমার্কেট থানার এলিফ্যান্ট রোডের সুকণ্যা টাওয়ারের নিজ ফ্লাট থেকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক স্বপন কান্তি দে। তিনিই নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মাহফুজার নাক মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। গলায় কাপড় পেচিয়ে রাখার ছাপ ছিল।

এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাতে নিহত মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের স্বামী ইসমত কাদির গামা বাদী হয়েছে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করেছেন। নিউমার্কেট থানার মামলা নম্বর-০৫। মামলাটিতে গৃহকর্মী রেশমা ও স্বপ্না নামের দুইগৃহকর্মীকে আসামি করেছেন তিনি। মামলাটির তদন্ত করছেন উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন মজুমদার

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, তদন্ত চলছে। আসামিদের ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কী কারণে কেন হত্যা করা হয়েছে আপাতত বলা সম্ভব হচ্ছে না। 

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে নিহত মাহফুজার মরদেহ গ্রহণ করেন তার পরিবার। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সেখানে গণমাধ্যকর্মীদের সাথে তেমন কোনো কথা বলেননি নিহতের পরিবারের সদস্যরা। পরে দুপুর পৌনে একটার সময়ে তারা নিহতের মরদেহ নিয়ে মর্গ এলাকা ত্যাগ করেন।

মাহফুজা চৌধুরী ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তার স্বামী ইসমত কাদির গামা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। সত্তরের দশকের প্রথম দিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন গামা। ঢাকা কলেজের বিপরীতে বহুতল ভবন ‘সুকন্যা টাওয়ারের’ ১৫ ও ১৬ তলায় দুটি ফ্ল্যাটে (ডুপ্লেক্স) দীর্ঘদিন ধরে তাদের বসবাস। ওপরের অংশটিতে তারা থাকেন। আর নিচতলায় রান্নাঘর, গৃহকর্মীদের আবাস। এই দম্পতির দুই ছেলে। তাদের একজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা এবং অপরজন ব্যাংকার। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার সুকুতা গ্রামে।

ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/এএ/ইএস