স্নাতকদের জন্য কোড স্প্রিন্ট

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৫

আইসিটি শিল্পে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হতে আগ্রহী স্নাতকদের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা, প্র্যাকটিস এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা সম্পর্কে জানানোর চন্য ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে ফাল্গুনি কোড স্প্রিন্ট ২০১৯-এর।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার যৌথভাবে এই আয়োজন করছে। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব)-এর ঝিগাতলা ক্যাম্পাসে দুইদিনব্যাপী এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকদের তত্ত্বীয় ভিত্তিটা খুব ভাল হয়। কিন্তু, কখনো কখনো বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাবে আরদ্ধ জ্ঞান প্রয়োগে সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। এছাড়া পড়ার সময় ইন্ডাস্ট্রি এক্সপোজারের সুযোগও সবাই পায় না। ফলে, কিছুটা ঘাটতি থেকেই যায়।

এই স্প্রিন্টের উদ্দেশ্য অংশগ্রহণকারীদের এই ঘাটতি দূরীকরণে সাহায্য করা এবং ইন্ডাস্ট্রির কিছু মৌলিক প্র্যাকটিসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয় উত্তীর্ণ এবং আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে সফটওয়্যার প্রকোশলী হিসাবে যোগ দিতে আগ্রহীদের জন্যই এই স্প্রিন্ট বলে জানিয়েছেন বিডিওএসএনের স্নাতক কর্মসূচির সমন্বয়কারী মাহবুবা সুলতানা।

তিনি আরও জানান এই স্প্রিন্ট থেকে নির্বাচিতদের পাঠাও, কোভ্যালেন্ট এ আই, এসওএল শেয়ার, গেইজ টেকনোলজি, ব্যাকপ্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ ও ফেলোশিপের সুযোগ দেওয়া হবে।

এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ঢাকায় অফিস আছে এমন সিলিকনভ্যালি স্টার্টআপ কোভ্যালেন্ট এ আই-এর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা তারিক আদনান মুন। তার ঢাকায় অফিস স্থাপনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, ‘আমাদের দেশে মেধাবী সফটওয়্যার প্রকৌশলী রয়েছে। কিন্তু উচ্চ আইকিউ ও কারিগরী দক্ষতা থাকা স্বত্ত্বেও অনেকেরই প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিল ও সাইকেল সম্পর্ক ধারণা কম।’

তিনি মনে করেন এই আয়োজনটি তাই স্থানীয় টেকি স্নাতকদের একটি সুযোগ করে দিচ্ছে। তিন আরও জানান এর মাধ্যমে নির্বাচিতদের কোভ্যালেন্ট আইটি একমাসের নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং এরপর তাদের বিভিন্ন টেকনোলোজি কোম্পানিতে চাকরি পেতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান জানালেন আমাদের দেশে সফটওয়্যার ফিনিশিং স্কুলের ধারণাটি পোক্ত হয়নি। তাছাড়া পড়াশোনার সময় ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গেও সে অর্থে অ্যাটাচমেন্ট তৈরি হয় না। এই উদ্যোগটি সেই অভাব পূরণ করবে।

তিনি আশা করেন, কারিগরি কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসলে এই ধরণের আয়োজনকে আরও বড়ো আকারে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।

অংশগ্রহণে আগ্রহীরা goo.gl/Ubi7yu এই ঠিকানায় বিস্তারিত জানতে পারবেন।

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা