সংরক্ষিত নারী আসনে সব প্রার্থীই বৈধ: ইসি

একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে জন্য যে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে তা সবই বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিএনপি ছাড়া সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র সাংসদের জোটের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়। বৈধ হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চার জন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম সবার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন।
এ সময় প্রার্থী, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রার্থীদের স্বাক্ষর না দেয়াসহ ‘ছোটখাট’ ভুল-ত্রুটি আমলে নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বিএনপির কেউ শপথ না নেয়ায় তাদের একটি আসন স্থগিত রয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই করার দিন।
আর ১৬ ফেব্রুয়ারি মনোনয়াপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন রয়েছে। একক প্রার্থী থাকায় তাদের আগামী শনিবারই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নাম ঘোষণা করা হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট ৪ মার্চ থাকলেও আসন সংখ্যার সমান প্রার্থী হওয়ায় ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না।
আওয়ামী লীগের ৪৩ জন:
ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সূবর্ণা মোস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান; চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম; কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, বাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে মিসেস হোসনে আরা, নেত্রকোণা থেকে হাবিবা রহমান খান (শেফালী) ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম, নংরসিদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, টাঙ্গাইল থেকে খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম (সাকী), ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমিনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।
জাতীয় পার্টির ৪ জন:
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলটি মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ওয়ার্কার্স পার্টি ও স্বতন্ত্র:
ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান। তিনি দলটির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেননের স্ত্রী। স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি স্বতন্ত্র সাংসদ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের স্ত্রী।
ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/জেআর/ওআর
সংবাদটি শেয়ার করুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
জাতীয় এর সর্বশেষ

নিবন্ধন ৫১ লাখ ৩৬ হাজার, টিকা গ্রহীতা ৩৯ লাখ

দেশেই উৎপাদন হবে করোনার টিকা

পিপিপি প্রকল্পে সৌদি বিনিয়োগ চায় ঢাকা

সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা উঠছে

পাপুলের দুর্নীতি: সাবেক এমপি নোমানসহ ১০ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দে চিঠি

করোনার বর্ষপূর্তির দিনে বাড়ল মৃত্যু ও শনাক্ত

‘চিৎকার করলেই অধিকার আসে না, আদায় করে নিতে হয়’

জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারিনি, দুদকের বিদায়ী চেয়ারম্যান

আজ তিন বিভাগে বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
