তরুণীকে ধর্ষণ, সেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা রিমান্ডে

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:২৪ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪০

মানিকগঞ্জ প্রতিবেদক

ইয়াবা সেবন করিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিন করে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। তারা হলেন সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন এবং এএসআই মাজহারুল ইসলাম।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালত-৭ এর বিচারক মো. গোলাম ছারোয়ার তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে দুজনকে আদালতে তুলে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ। শুনানি শেষে বিচারক তাদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাদশা। আসামিপক্ষে ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপপুলিশ পরিদর্শক সেকেন্দার হোসেন আশুলিয়া থানায় থাকাকালীন এক নারীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নেন। কথা ছিল জমি বিক্রির লাভ তাকে দেওয়া হবে। কিন্তু টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। সাটুরিয়া থানায় বদলি হয়ে আসার পরও সেকেন্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।

গত বুধবার বিকালে প্রতিবেশী ভাগ্নিকে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় আসেন ওই নারী। সেকেন্দারের টাকা দেবেন জানিয়ে তাদের সাটুরিয়া ডাকবাংলোতে নিয়ে যান। সন্ধ্যার পর সাটুরিয়া থানার এএসআই মাজহারুল ইসলামকে ডাকেন সেখানে। সেখানে একটি কক্ষে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ওই তরুণীকে জোর করে ইয়াবা সেবন করান। পরে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে।

শনিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীমের নির্দেশে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এরপর রবিবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল) হাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হামিদুর রহমান সিদ্দিকী অভিযোগের তদন্ত করেন। দিনভর প্রাথমিক তদন্তের পর ওই তরুণীর অভিযোগের সত্যতা পান তারা।

এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। এরপর রাতে তার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. লুৎফর রহমান জানান, সোমবার রাতে ওই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা শেষ হয়।  তিন দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা টাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর