বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, মামলা করায় হত্যা

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৪ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৬

ব্যুরো প্রধান, বরিশাল, ঢাকাটাইমস
প্রতীকী ছবি

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করায় খুকু মনি নামের এক তরুণীকে (১৮) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ওই তরুণীর পরিবারের।

এ ঘটনায় সোমবার বিকালে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন খুকু মনির বাবা মানিক গাজী।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, পশ্চিম জাঙ্গালিয়া এলাকার ফয়সাল আকন, মকবুল বেপারী, হেলাল গাজী, সোহরাব হাওলাদার, বাহাদুর হাওলাদার; লেঙ্গুটিয়া এলাকার মাইন উদ্দিন মাঝি ও কালাম মাঝি; মিজান মাঝি, ফয়সাল হাওলাদার ও আসাদ হাওলাদার, ইব্রাহিম মাঝি, রিয়াদ, রফিক, রাশেদ ও হাসিব মাঝি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, চর পশ্চিম জাঙ্গালিয়ার মানিক গাজীর মেয়ে খুকু মনিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে ফয়সাল আকন। খুকু মনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানানো হয় ফয়সালের পরিবারকে।

২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর ফয়সাল খুকুকে বরিশালের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করান। পরে ফয়সাল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে খুকু মনি আদালতে মামলা করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ডাক্তারি পরীক্ষায় খুকুকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে ফয়সালসহ অন্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে খুকুর পরিবারের সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

অব্যাহত হুমকির মুখে গত ৬ ফেব্রুয়ারি খুকু মনি বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয় আসামিরা।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে খুকুকে বাসা থেকে অপহরণ করে আসামিরা শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ উত্তর জাঙ্গালিয়া এলাকার একটি সুপারিবাগানে ফেলে যায়।

পরদিন পুলিশ ওই সুপারিবাগান থেকে খুকুর লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/ওআর/মোআ)