আত্মহনন থেকে যুবককে বাঁচাল ৯৯৯

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৬ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুলিশ আর পাঁচ মিনিট পরে খবরটি পেলে হয়তো যুবকটিকে বাঁচানো যেত না। জীবনের প্রতি হতাশ যুবকটি ততক্ষণে আত্মহননের মাধ্যমে পাড়ি জমাতেন না-ফেরার দেশে।

রাত দুইটা ২৭ মিনিট। পটুয়াখালী থেকে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক নারীর ফোন আসে। তার ভাই ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান ১ নম্বর সড়কের একটি বাসায় বসবাস করেন। প্রতিবেশী সূত্রে জানতে পেরেছেন তার ভাই আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জরুরি সেবা থেকে তৎক্ষণাৎ মোহাম্মদপুর থানাকে জানানো হয় ঘটনাটি। পরপরই পুলিশের একটি দল ছুটে যায় ওই বাড়ির উদ্দেশে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে উদ্ধার করে আত্মহনন-উদ্যত মাকসুদুল হাসান হিমু নামের যুবককে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঢাকাটাইমসকে জানান, ৯৯৯ থেকে বিষয়টি তাদের জানানো হলে উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ ত্বরিত ছুটে যান  ঘটনাস্থলে। ৪ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের মধ্যে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নেওয়া যুবক মাকসুদুল হাসান হিমুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

ব্যক্তিগত জীবনে কাক্সিক্ষত সাফল্য না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন এই যুবক। তিনি কুকুরের প্রশিক্ষক হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

পুলিশ জানায়, উদ্ধারের পর হিমুকে ‘আত্মহত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না’[- এ ধরনের আত্ম-উন্নয়নমূলক বচনে উদ্দীপ্ত করেন পুলিশ সদস্যরা। এরপর পরিবারের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
এভাবে জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে জরুরি সেবা ৯৯৯। চালু হওয়ার পর গত এক বছরে ৭৭ লাখের বেশি কল এসেছে এতে। প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৮ হাজার। আর এর প্রায় সব কটিতে সাড়া দিয়েছে পুলিশ।

৯৯৯ ছাড়া থানার নম্বরে ফোন করে সাধারণ মানুষ জরুরি সেবা চাইলে পুলিশের ভূমিকা কী হবে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পুলিশের কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেশি গতিশীল হয়েছে। কেউ যদি পুলিশের কাছে কোনো সহযোগিতা চায়, পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেবে।’

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/কারই/মোআ)