পাঁচ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে দুদক

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটি ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের এক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

এনসিসি ব্যাংকের তিন কোটি ৮৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই ব্যাংক কর্মকর্তা এবং আন্তঃব্যাংকিং রেমিট্যান্সের তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয় বলে দুদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

দুদক জানায়, এনসিসি ব্যাংকের তিন কোটি ৮৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির কর্মকর্তা এইচ এম নুরুউদ্দিন চৌধুরী ও শাহেলা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক

২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এস. এম মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা মডেল (ডিএমপি) থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্তে দেখা যায়, ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আসামি এইচ এম নুরুদ্দিন চৌধুরী এনসিসি ব্যাংকের বিজয়নগর শাখায় ক্লিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ৩৫টি ভুয়া এন্ট্রি পোস্টিং দিয়েছেন এবং তার অধীনস্থ কর্মকর্তা শাহেলা কিবরিয়াকে প্রভাবিত করে তার মাধ্যমে এ সময়ের মধ্যে ১৯টি ভুয়া এন্ট্রি পোস্টিং দেন এবং তিনি বিজয়নগর শাখা হতে এনসিসি ব্যাংক ভবন শাখায় বদলি হয়ে চলে যাওয়ার পরেও শাহেলা কিবরিয়াকে প্রভাবিত করে আরও পাঁচটি ভুয়া এন্ট্রি পোস্টিং দিয়েছেন। তিনি নিজে ১৮টি ভুয়া এন্ট্রি অথরাইজ করেছেন। অর্থাৎ দেখা যায় যে, মোট ৫৯টি ভুয়া এন্ট্রির মাধ্যমে সানডি অন লাইন ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট (ব্যাংকের ইন্টারনাল অ্যাকাউন্ট) ডেবিট করে এনসিসি ব্যাংক বিজয়নগর শাখার মোট তিন কোটি ৮৮ লাখ টাকা নুরুদ্দিন চৌধুরীর নিজস্ব ও পরিচিত বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট অথবা জমা এবং বিভিন্ন সময়ে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এদিকে আন্তঃব্যাংকিং রেমিট্যান্সের তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রোকোনুজ্জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদকের সহকারী পরিচালক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমিত্রা সেন তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় এ ব্যাপারে একটি মামলা করা হয়।

আসামিরা হলেন, উত্তরা ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখার সাবেক হেড ক্যাশিয়ার মুক্তার হোসেন, একই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্ত), রোকনুজ্জামান ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা (বরখাস্ত) নিজামউদ্দীন।

আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে তথ্য গোপনপূর্বক পরস্পর যোগসাজশে চারটি ট্রান্সফার ভাউচারের মাধ্যমে তিন কোটি টাকার রেমিটেন্স আত্মসাৎ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/জেবি)