‘সম্পত্তির লোভে প্রেম ও সাজানো ধর্ষণ মামলা’
ভৈরবে ‘সম্পত্তির লোভে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করতে না পারায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় সাজানো ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে’- এক তরুণীর (প্রেমিকা) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন ছেলেটির অভিভাবকরা।
মামলায় প্রেমিক রুবেল বেলায়েতকে জেলহাজতে পাঠানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তার চাচা জায়েত মিয়াসহ অভিভাবকরা।
ভৈরব প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রুবেলের আত্মীয় আইনজীবী কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিব। তাতে ওই প্রেমিকার পরিবারকে লোভী এবং মেয়েটির চরিত্র ভালো নয় বলে দাবি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘রুবেলের বাবার সম্পত্তির লোভে সে (প্রেমিকা) প্রেমের ফাঁদে ফেলে সাজানো ও মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করে রুবেলকে জেলে পাঠিয়েছে। ২০১৫ সালে তাকে ধর্ষণ করা হলে তখন মামলা করেনি কেন?’
ভৈরব হাজী আসমত কলেজের অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র রুবেলের বাবা বাদল মিয়া বিদেশ প্রবাসী।
আর ভৈরবের জিল্লুর রহমান সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী ওই প্রেমিকা। দুজনের বাড়ি ভৈরবের শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রুবেলকে কলেজ গেটে জাপটে ধরে বিয়ের জন্য চাপ দেন মেয়েটি। একপর্যায়ে জনতা তাদের পুলিশে সোপর্দ করে। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে থানায় গিয়ে রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। পরদিন তাকে আদালতে চালান দেয় পুলিশ।
সোমবার কিশোরগঞ্জের মুখ্য বিচারিক আদালতে মেয়েটি ২২ ধারায় তার আট বছরের প্রেমকাহিনি এবং ধর্ষণের জবানবন্দি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রুবেলের ফুফা রহমান মিয়া, ফুফাতো ভাই রাজু মিয়া, মামাতো ভাই এমাদ মিয়া, তার নিকটাত্মীয় জমশেদ মিয়া, ইউপি সদস্য আ. আওয়াল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাসির মিয়া।
(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এলএ/মোআ)