তারুণ্য মাতবে বসন্তবরণে

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০২ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:১৪

দিদার মালেকী
ফাইল ছবি

পঞ্জিকায় আজ ফাল্গুনের শুরু। প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্তের পদার্পণ। শীতের পাতাঝরা দিন শেষে ফুলও ফুটেছে বৃক্ষরাজিতে। আর প্রেমের ঋতু বসন্তের আগমনে দোলা লেগেছে মানুষের মনেও। দখিনা হাওয়া, মৌমাছিদের গুঞ্জরণ, কচি-কিশলয় আর কোকিলের কুহুতানে জেগে ওঠার দিন আজ। কৃষ্ণচূড়া-পলাশের লাল রঙের পরিধেয়তে আজ তারুণ্য মাতবে বসন্ত উৎসবে।

রাজধানীর টিএসসি চত্বর আর বইমেলায় এক পাক ঘুরতেই বোঝা যাবে ফাগুন শুধু বনে বনেই নয় এই যান্ত্রিক নগরজীবনেও যাত্রা শুরু করেছে। আজ নারীরা, বিশেষ করে তরুণীরা অনেকেই বাসন্তী তথা হলুদ শাড়ি পরে সাজগোজে রাঙিয়ে তুলবে বসন্তোৎসব। খোঁপায় শোভা পাবে গাঁদা ফুলের মালা। 

প্রতি বছরের মতো এ বছরও সকাল ৭টায় বসন্ত বরণের প্রধান উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় শুরু হবে। এ ছাড়া কলাভবনের সামনে বটতলায় থাকবে নানা আয়োজন। দিনভর চলবে তরুণ-তরুণীদের বসন্ত বরণের উচ্ছ্বাস। বসন্ত বরণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা বয়সী মানুষের পদচারণে মুখর হবে। টিএসসি, মলচত্বর, কলাভবনের আশপাশের এলাকা, কার্জন হলসহ পুরো ঢাবি শিক্ষার্থী ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজনের ভিড়ে লোকারণ্য হবে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়।

লাল আর বাসন্তী রঙে প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের সাজিয়ে আজ বাঙালি ভাসবে বসন্তের উচ্ছ্বলতা ও উন্মাদনায়। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যাবে না গ্রামীণ জীবনও। বসন্তকে তারা আরও নিবিড়ভাবে বরণ করে।

বাঙালির বসন্তবন্দনা কবিতা, গান, নৃত্য আর চিত্রকলাজুড়ে। সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শনেও বসন্ত ঠাঁই করে নিয়েছে তার আপন মহিমায়। প্রাচীন থেকে আধুনিককালের কবির মনকেও বার বার দুলিয়েছে ঋতুরাজ বসন্ত।

ফাগুনের প্রথম দিনে বসন্তের রঙ থাকবে বইমেলাতেও। ১৯৫২ সালে এমনই এক বসন্তের দিনে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেক ভাষা শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালির রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা আদায় হয়েছিল। সেই মহান ভাষাশহীদদের স্মরণে গোটা ফেব্রুয়ারিজুড়ে বাঙালির মননশীলতার অন্যতম প্রধান উৎসব- অমর একুশে গ্রন্থমেলা আয়োজিত হয়ে আসছে।