এসো মিলি প্রাণের উৎসবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৬ | প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৫১

আজ পয়লা ফাগুন। বাংলা মাসের হিসাবে ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস ঋতুরাজ বসন্ত। মাসের প্রথম দিনেই এবারও বসন্তকে বরণ করে নিচ্ছে নগরবাসী। পোশাক ও মননে বসন্ত বরণের নয়ন জুড়ানো দৃশ্য। বাসন্তী কিংবা হলুদ রঙের শাড়ির সঙ্গে খোঁপায় গাঁদা ফুলের বন্ধনী অথবা মাথায় ফুলের টায়রা পরে ঘুরে বেড়িয়েছেন নারীরা।

হলুদসহ বাহারি রঙের পাঞ্জাবি বা ফতুয়া শোভা পাচ্ছে কিশোর-তরুণদের গায়ে। শিশুদের পোশাকেও নানা রঙের সমাহার।

শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সকলেই সেজেছে নতুন সাঝে। হলুদ, লাল রাঙ্গা পোশাক মনে করিয়ে দিচ্ছে বসন্তের আগমন।

প্রতিবছররের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বুধবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী বসন্ত উৎসব। জাতীয় বসন্তবরণ উদযাপন পরিষদের উৎসবকে ঘিরে নানা বয়সের মানুষ ভিড় জমিয়েছে বকুলতলায়। বকুলতলা ছাড়াও পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর ও উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরোবরের উন্মুক্ত মঞ্চে একযোগে চলছে অনুষ্ঠান।

একক আবৃত্তি ও একক সংগীতের মধ্য দিয়ে বকুল তলায় চলছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। রয়েছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে দলীয় নৃত্য ও আদিবাসীদের নাচ।

এতে একক আবৃত্তি পরিবেশন করবেন সৈয়দ হাসান ইমাম, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, বেলায়েত হোসেন ও নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি।দলীয় পরিবেশনায় থাকছে সুরতীর্থ, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ও বাফা'র নানা পরিবেশনা।

রাজধানীর টিএসসি চত্বর, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আর বইমেলায় এক পাক ঘুরতেই বোঝা গেল, ফাগুন শুধু বনে বনেই নয়, এই নগর জীবনেও যাত্রা শুরু করেছে।

আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানজার আহমেদ সুইট জানান, বকুলতলায় সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বসন্ত উৎসব চলবে। ২৪ বছর ধরে আমরা এই আয়োজন করে আসছি।

বসন্ত বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা বয়সী মানুষের পদচারণে মুখর। টিএসসি, মলচত্বর, কলাভবনের আশপাশের এলাকা, কার্জন হলসহ পুরো ক্যাম্পাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজনের ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সে ভিড়ও।

বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে আমরা পালন করি ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। এ উৎসব এখন পরিণত হয়েছে বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের উৎসবে।

বাংলায় বসন্ত উৎসব এখন প্রাণের উৎসবে পরিণত হলেও এর শুরুর একটা ঐতিহ্যময় ইতিহাস আছে, যা অনেকের অজানা। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব।

তখন অবশ্য ঋতুর নাম এবং উৎসবের ধরনটা এখনকার মতো ছিল না। কিন্তু অন্য ঋতুর চেয়ে এই ঋতুকে পালন করা হতো আলাদাভাবে। তাই পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব কেবল উৎসবে মেতে ওঠার সময় নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালিসত্তা।

ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :