ড. কামালরা ‘তামাশার পাত্র’, দাম নেই ‘কানাকড়ির’: কাদের

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
গতকাল সোহরাওয়ার্দীর ছেলের স্মরণসভায় ড. কামাল

৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের কাছে অভিযোগ করলেও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা কানাকড়িরও দাম পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, অভিযোগ করতে গিয়ে তারা তামাশার পাত্র হচ্ছে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাউলাতে ‘ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে’র কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আগের দিন রাজধানীতে এক আলোচনায় ড. কামাল ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি, ১৬ কোটি মানুষ এটা মেনে নেবে না। আমাদের যা করণীয় আছে, আমরা অন্তত করব।’

এই বক্তব্যের জবাব চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আসলে যারা এ ধরনের অপবাদ দিচ্ছে, তারা নিজেরাই আজকে দেশে-বিদেশে তামাশার পাত্র হয়েছে । কারণ জনগণ তাদের এই অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না।’

‘জাতিসংঘসহ উন্নত বিশ্ব তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হচ্ছে না। কাজেই তারা নিজেরাই অপপ্রচারের জন্য তামাসারপাত্র হয়ে গেছে। যাদের কাছে তারা নালিশ করছে, তাদের কাছে এর কানা-কড়ির ও দাম নেই।’

নির্বাচনের আগে সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী রাখেননি বলে যে অভিযোগ করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা, তারও জবাব দেন কাদের। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাদের কোন দাবিটা রাখেননি, সেটা তারা নির্দিষ্টভাবে বলুক, তথ্য-প্রমাণসহ বলুক।’

অন্য এক প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্ট নেতা মইনুল হোসেনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন তখন তার যে আচার- আচরণ ছিল, সেটা আমলার চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল।’

বিমানবন্দর থেকে বনানী এক্সপ্রেসওয়ে জুনের মধ্যে

আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, বিমানবন্দর মোড় থেকে যাত্রাবাড়ী কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে আগামী জুনে। তখন বনানী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্বিঘ্নে যাওয়া যাবে।

দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত আগামী বছরের জুলাইয়ে এবং তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হবে।

আট হাজার ৯শ ৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে মগবাজার পর্যন্ত কাজ শেষ হলে।

মন্ত্রী জানান, প্রথম ধাপের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ২০ শতাংশ। এক হাজার ৩০৪টি পাইল, ২৮০টি পাইল ক্যাপ, ৬২টি ক্রস-বিম, কলাম ১৬৩টি (সম্পূর্ণ) ও ৮৪টি (আংশিক) এবং ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ শেষ হয়েছে। এছাড়াও দুটি স্প্যান আই গার্ডার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এমএম/ডব্লিউবি