ছবির সঙ্গীকে চিনতে পারছেন না ড. কামাল

ফেসবুকে প্রচার তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনি বজলুল ‍হুদা

এম গোলাম মোস্তফা, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪০ | প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:১৬

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবি তুমুল আলোচনা তৈরি করেছে রাজনৈতিক অঙ্গণে। দাবি করা হচ্ছে, তিন দশক আগের সাদাকালো ওই ছবিতে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা ওই ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর খুনি বজলুল হুদা।

তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতাকে ছবিটি দেখানো হলে তিনি দাবি করেন, তার সঙ্গে ওই লোকটি কে তা তিনি চিনতে পারছেন না। ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এই ছবিটি আমি মনে করতে পারছি না, আর ছবিতে কে তাও তো চিনতে পারছি না। এই বিষয়ে আর কোন কথা বলব না।’

সামাজিক মাধ্যমে যে বলা হচ্ছে এটা বঙ্গবন্ধুর খুনি বজলুল হুদার- এমন কথা শুনে খানিকটা রাগান্বিতও হন বঙ্গবন্ধুর এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহচর।

বলেন, “ফেসবুকে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে, এগুলো বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না। উঠেপড়ে ওরা লেগেছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানোর জন্য, ওদেরকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, ‘এগুলো তোমরা কেন করছ?’। তাদের জিজ্ঞেস করুন। সন্তোষজনক উত্তর হলে, তারপর আমার কাছে আসবেন। এর আগে কোন কথা বলব না।”

যারা এই ছবি ছড়িয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করারও অনুরোধ করেন গণফোরাম নেতা। বলেন, ‘আপনারাও চেষ্টা করুন, ওদের ট্রেস করার জন্য। ওদেরকে খুঁজে এই মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানোর জন্য জুতাপেটা করা দরকার।’

ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধুর ‘একনিষ্ঠ ভক্ত’। গড়তে চান তার স্বপ্নের সোনার বাংলা। সে কথা নিত্যদিনই বলেন। এর মধ্যে কথিত বজলুল ‍হুদার সঙ্গে ছবি আসার পর তীব্র সমালোচনা হচ্ছে তার।

এই রাজনৈতিকের রাজনৈতিক জীবন শুরু আওয়ামী লীগ দিয়ে। যদিও ১৯৯২ সালে দলটির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে গড়েন নিজের দল। গত বছরের শেষ দিকে জোট গড়েন বিএনপির সঙ্গে।

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি বঙ্গবন্ধুর অনুসারী নয়, বরং তার কট্টর সমালোচক। তবে এই দলের সঙ্গে জোট করেও ড. কামাল হোসেন বারবার বলেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা। তার মতো করে দেশ চালানোর ইচ্ছার কথা।

ওই ছবিটি যখন তোলা হয় তখন ড. কামাল আওয়ামী লীগেরই নেতা। বলা হচ্ছে, তখন শ্রীলঙ্কান অ্যাম্বেসির এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর খুনি ‘বজলুল হুদার’ সঙ্গে তার দেখা হয় এবং সেখানে বেশ অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে তিনি কথা বলছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী শারমীন সুলতানা ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এই হচ্ছে ড. কামালের চরিত্র, যেটা এতদিনে প্রকাশে চলে এসেছে।’

খুরশীদ এ বাবলু নামে একজন লিখেছেন, ‘ড.কামাল এমন একজন মানুষ যে, ধরি মাছ না ছুঁই পানি টাইপের নীতিহীন সুজোগসন্ধানী সুবিধাবাদী চরিত্রহীন রাজনীতিক।’

মাসুম খান জনসন লিখেছেন, ‘লজ্জা লজ্জা। ড. কামাল তখন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ছিলেন।’

২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর যে পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে, তাদের একজন বজলুল হুদা। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত হয়ে পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেন। সেখানে চুরির দায়ে আটক হন। পরে ফিরিয়ে আনা হয় দেশে। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

এই ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিষয়টা আমার জানা নেই। কোথায় পাইছেন এটা, আমার নলেজের বাইরে। এ বিষয়ে আমি জানি না।’

ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/জিএম/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

বাংলাদেশে একদিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবেই, তখন আ. লীগ থাকবে না: আমিনুল হক

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আ.লীগে বাড়ছে দ্বন্দ্ব

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে: এবি পার্টি

বদরের চেতনায় লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান ছাত্রশিবির সভাপতির

আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

বিএনপির ভারত বিরোধিতা মানুষের কষ্ট বাড়ানোর নতুন সংস্করণ: নাছিম

ভোট ডাকাত সরকারকে সমর্থনকারী দেশের পণ্য বর্জন ন্যায়সঙ্গত: রিজভী

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

বর্তমান সরকার ভারতের অনুগ্রহে ক্ষমতায় বসে আছে: সাকি

জিয়াউর রহমান উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে: ওবায়দুল কাদের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :