আট দিনে ভাঙা হলো দেড় হাজার স্থাপনা

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:১১ | প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৯

রাজধানী ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করতে বড়ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে সরকার। আট দিন ধরে চলা অভিযানের তৃতীয় পর্ব চলছে। ইতিমধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে এক হাজার ৪৪১টি স্থাপনা। বিআইডাব্লিউটি পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানে ধর্মীয় স্থাপনা ছাড়া কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। অনেক প্রভাবশালীর অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়েছে।

২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অভিযানে আবাসিক ভবন, কল-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, টংঘর থেকে শুরু করে উচ্ছেদ করা হয়েছে সব ধরনের স্থাপনা। উচ্ছেদ শিথিল রাখা হয়েছে কেবল ধর্মীয় স্থাপনার ক্ষেত্রে।

ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান ঢাকা টাইমসকে জানান, ধর্মীয় স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং মসজিদগুলো সরিয়ে নেয়া হবে।

অভিযানের অষ্টম দিনে বুধবার সকাল থেকে উচ্ছেদে নামে বিআইডাব্লিউটিএ। কামরাঙ্গীরচর এলাকার খোলামোড়া ঘাট থেকে শুরু করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় বাদশা মিয়া স্কুল, ঝাউচর এলাকায়। এদিন উচ্ছেদ করা হয়েছে ছোট-বড় মোট ১২৪টি স্থাপনা। একমধ্যে ১১টি পাকা দোতলা ভবন, ছয়টি একতলা ভবন, ৩০টি আধা পাকা ঘর, ২২টি টিনের ঘর, ৫৫টি টংঘর উচ্ছেদ করা হয়।

এসময় উচ্ছেদের মুখে পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের শ্বশুরের স্থাপনা। যদিও স্থানীয়দের মতে, নদী দখল করে গড়ে তোলা তিন তলা ভবনটির মালিক কাজল নিজেই।

বুধবার উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেছেন নৌ-পরিবহন সচিব আবদুস সামাদ। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, অভিযানে কোনো স্থাপনা উচ্ছেদ না করা না গেলে পরবর্তী সময়ে সেসব স্থাপনাও ভাঙা হবে। অবৈধভাবে নদীর জায়গায় গড়ে ওঠা মসজিদগুলো সরিয়ে নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

সচিব বলেন, ‘উচ্ছেদ চলছে। পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণ এবং এগুলোকে রিসাইকেল, রিডিউস, রিইউজ পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা কাজ করব। আমাদের পরিকল্পনা চলছে এটাকে ডেভেলপমেন্ট অর্থাৎ ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা, বাগান সৃষ্টি করা, নদীর তীরভূমিকে প্রটেক্ট করা। একাজগুলো আমাদের ইঞ্জিনিয়ারেরা এবং আমাদের প্ল্যানাররা, কনসালটেন্টরা পরিদর্শন করবেন।’

অভিযানের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ'র যুগ্ম-পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা খোলামোড়া ঘাট থেকে একপথ ধরে চলে যাচ্ছি। এখানে যত স্থাপনে থাক না কেন আমাদের জরিপের মধ্যে যেটি পড়বে সেটিকেই উচ্ছেদ করা হবে।’ এদিকে প্রথম দুই পর্যায়ের উচ্ছেদ অভিযানে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ভাঙা হয়েছে এক হাজার ১৯৯টি। এরমধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের নির্মাণ সামগ্রী বিক্রির প্রতিষ্ঠান, বিটিসিএল অফিসসহ বহুতল আবাসিক ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল।

তৃতীয় পর্যায়ের অভিযানে বুড়িগঙ্গার আদি খাল দখলমুক্ত করতে বিআইডাব্লিউটি’র সঙ্গে যোগ দেয় ঢাকা জেলা প্রশাসক। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় তিন একর জায়গা।

বৃহস্পতিবার ঝাউচর থেকে বসিলা অভিমুখে অভিযান পরিচালিত হবে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক। আর এর মধ্যে দিয়ে তৃতীয় পর্যায়ের উচ্ছেদ অভিযান শেষ হচ্ছে। চতুর্থ পর্যায়ের অভিযান চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/কারই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মেয়র তাপসের মতবিনিময়

মতিঝিলের ফুটপাতে পড়েছিল বৃদ্ধার মরদেহ

মিরপুর বিআরটিএ’তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৪ দালালকে সাজা

খিলক্ষেতে ৬০ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার

রাজারবাগের পুকুরে ডুবে পুলিশ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু, ধরা পড়ল সিসি ক্যামেরায়

চার নারী একসঙ্গে ওয়াশরুমে! সেই রাতে গুলশানে কী হয়েছিল, জানালেন ভুক্তভোগী

রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

সংসদ এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে আটক সাবেক এমপিপুত্র, ছাড়া পেলেন মুচলেকায়

গুলশানে ‘মাতাল’ হয়ে মারামারিতে জড়ানো তিন তরুণী গ্রেপ্তার, বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মা ও স্ত্রীর পর না ফেরার দেশে লিটনও

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :