আবার মধুর কেন্টিনে ছাত্রদল, ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের স্বপ্ন
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এসেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। কেবল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনের জন্য নয়, ক্যাম্পাসে সবসময় সহাবস্থান নিশ্চিত করতে চা তারা।
আগের দিনের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও মধুর ক্যান্টিনে আসেন ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা। এ সময় তারা এই স্বপ্নের কথা বলেন।
বেলা ১১টার দিকে বিরোধী ছাত্র সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকীসহ ২০ থেকে ২৫ নেতাকর্মী মধুর ক্যান্টিনে আসেন।
আধা ঘণ্টা পর আসেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের, ছাত্র ইউনিয়নসহ কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আগামী ১০ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। ১৯৯০ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি। এ কারণে এই নির্বাচন নিয়ে আলাদা আবেগ রয়েছে শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে।
আর গত ১০ বছর ধরেই ক্যাম্পাস ছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা এখন প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারছেন এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই। তবে হলে ভোট কেন্দ্র না রাখা, হলে সহাবস্থানসহ ছাত্রদল বেশ কিছু দাবি জানিয়ে যাচ্ছে। তফসিল পেছানোর দাবিও আছে তাদের।
জানতে চাইলে, রাজীব আহসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কিছু দাবি জানিয়েছি। আশা করছি প্রশাসন আমাদের দাবিগুলোর ব্যাপারে আন্তরিকতা প্রকাশ করবে।’
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সহাবস্থান নেই। আমাদের নেতাকর্মীরা হলে থাকতে পারে না। সহাবস্থানের স্থায়ী সমাধান হোক এটাই আমাদের চাওয়া।’
ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে আসা শুরু করেছে। তবে আমরা শুধু ডাকসুকেন্দ্রীক ক্যাম্পাসে সহাবস্থান চাই না। আমরা চাই সবসময় ক্যাম্পাসে সহাবস্থান ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকুক।’
‘আমরা চাই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবার সহযোগিতায় সহাবস্থান নিশ্চিত হবে। সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক এবং ছাত্ররা তাদের অধিকার ফিরে পাক।’
আকরামুল হাসান বলেন, ‘আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ যাত্রা অব্যাহত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখতে চাই।’
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিটিগুলোতে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ শিক্ষক নেই অভিযোগ করে এসব কমিটির পুনর্গঠন চেয়ে ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিটিগুলোতে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ শিক্ষক নেই। যাদেরকে এসব কমিটিতে রাখা হয়েছে, তারা সবাই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সমর্থক। তাই এসব কমিটিতে গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্ত করা হোক।’
‘ছাত্রদলের মধ্যে শিবির ঢুকেছে’- ছাত্রলীগের এমন অভিযোগের বিষয়ে আকরাম বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে যাচাই-বাছাই করে পদ দিয়েছি। তাই ছাত্রদলের কমিটির মধ্যে কোনো শিবির নেই। তবে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে শিবিরের অভিযোগ আসলে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা শেষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কিছুক্ষণ মধুতে অবস্থান করে চলে যান।
ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/এনএইচএস/ডব্লিউবি