‘সরি বলা মানে হেরে যাওয়া না’

অনলাইন ডেস্ক
| আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:১৮ | প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫২

১৯৭০ সালে আবুল হায়াতের সঙ্গে বিয়ে হয় তার মেজবোনের ননদ মাহফুজা খাতুন শিরিনের সঙ্গে। এর কয়েক বছর আগে তার প্রেমে পড়েন নিজেকে চিরতরুণ দাবি করা এই অভিনেতা। ব্যক্তিজীবনে দুই সন্তানের জনক-জননী হায়াত দ¤পতি। অভিনয়শিল্পী বিপাশা ও নাতাশা হায়াত এই দ¤পতির দুই কন্যা। কীভাবে প্রেমের শুরু কীভাবে এতগুলো দিন এক সঙ্গে আছেন এই দ¤পতি ঢাকা টাইমসের সঙ্গে আলাপকালে সেকথাই জানালেন শোবিজের এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।

প্রথম প্রেমের কথা মনে পড়ে?

-প্রথম আর শেষ আমার প্রেম একটাই। আমি জীবনে একজনের প্রেমে পড়েছি তার নাম শিরিন। সে এখন আমার সহধর্মিণী। ১৯৭০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম আমরা। এরপর থেকে ওই একজনের প্রেমেই ডুবে আছি।

কীভাবে প্রপোজ করেছিলেন?

-সে হচ্ছে আমার মেজ বোনের ননদ। আমাদের বাসায় সেই সুবাদেই যাতায়াত ছিল। আমি দেখতাম একজন উচ্ছল বালিকা হাঁটছে, গান গাইছে, কথা বলছে। এর মধ্যেই কখন যেন প্রেমে পড়ে যাই। বলেও দিই ‘শিরিন আমি তোমাকে পছন্দ করি’।

এক কথায় ভালোবাসাকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন?

-ভালোবাসা মানে হচ্ছে ভালোর মধ্যে বাস করা

আপনাদের ঝগড়া হলে কীভাবে সমাধান হয়?

-অন্য দশটা দম্পতির মতো আমাদেরও মান-অভিমান হতো এবং এখনো হয়। এক্ষেত্রে আমি একটা কৌশল অবলম্বন করি সেটা হচ্ছে আগ বাড়িয়ে গিয়ে সরি বলে দিই। অমনি সব বরফ গলে পানি। এখানে অনেকে ইগো প্রব্লেমে ভোগে। সরি বলতে চায় না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, সরি বলা মানে সব সময় হেরে যাওয়া না। মাঝে মাঝে সরি উচ্চারণ মানুষকে জিতিয়ে দেয়, মানুষ হিসেবে আরেকটু মহৎ করে তোলে।

প্রেমিক ও স্বামী দুই চরিত্রে নিজেকে মূল্যায়ন করবেন?

-যদি নাম্বারিং করি তাহলে প্রেমিক আমাকে ১০০ নাম্বারের মধ্যে ৬৫ দিব, আর স্বামী হিসেবে দিব ৮০-এর ওপরে।

বিশেষ দিবস কীভাবে উদযাপন করেন?

-সারপ্রাইজ গিফট দিয়ে। আমরা দুজন দুজনকে প্রচুর সারপ্রাইজ গিফট দিই। ও আমাকে ঘড়ি গিফট করে আর আমি দিই ফুল ও পারফিউম। আমার থেকে ফুল পেতে শিরিন খুব পছন্দ করে। প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে ওর জন্য গোলাপ ফুল নিয়ে যাই। আর বেলী ফুলের সিজনে প্রতিদিন বেলী ফুল উপহার দিই।

তরুণ প্রেমিক প্রেমিকাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?

-হ্যাঁ আমার কাছে মনে হয়, এখনকার অনেক দ¤পতির কোথাও একটা আস্থার ঘাটতি আছে। ভালোবাসার পূর্ব শর্ত হচ্ছে আস্থা। আমি তরুণ প্রজন্মকে বলবÑ একসঙ্গে টিকে থাকতে হলে প্রচুর কম্প্রোমাইজ করতে হয়। এটা ছাড়া কোনো স¤পর্ক টিকে থাকে না। তরুণদের উদ্দেশে বলতে চাই, একটি স¤পর্কে শ্রদ্ধা কর। এতে নিজেরাও মানসিক পরিতৃপ্তি পাবে, আর স¤পর্কটাও ভঙ্গুর হবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :