‘শিক্ষকদের চিন্তার বন্ধ্যাত্ব দূর করতে হবে’

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:০৮

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

কর্মক্ষেত্রে মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে দেশকে গড়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়া গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, গতানুতিক কাজের কারণেই মানুষের মধ্যে চেতনা বন্ধ্যাত্ব ঘটে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ সবখানে শিক্ষকদের চেতনা প্যারালাইসড হয়ে যাচ্ছে। যা ছাত্র অবস্থায় পড়ছে তাই আবার পড়াচ্ছে। নতুন কিছুকে গ্রহণ করছে না। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকরা চেতনা বন্ধ্যাত্বের শিকার হচ্ছেন। জমিন যেমন ঊর্বর হয় তেমনি মানুষের চৈতন্যবোধও ঊর্বর হতে হবে। নতুন কিছুকে গ্রহণের শক্তি থাকতে হবে।

আজকের সমাজে মানুষের মধ্যে আবু জাহেলের মতো চেতনা বন্ধ্যাত্ব বিরাজ করছে দাবি করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, আবু জাহেল নতুন চেতনাকে গ্রহণ করতে পারেনি। বাপ দাদার সেই পুরনো চেতনায় টিকে থাকার জন্যই নতুন সত্য ধর্মকে মানতে পারেনি। মানুষ মাটির মতন ঊর্বর হবে। গ্রহণের ইচ্ছা, অভিলাষ, আগ্রহ, প্রেরণা থাকতে হবে প্রত্যেক শিক্ষকের মধ্যে। নবচেতনাকে গ্রহণ করে নিজের বন্ধ্যাত্বকে দূর করতে হবে। স্কুল-কলেজেও সেই পুরনো রাসেল, আইনস্টাইনই পড়ানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ইকরা বাংলাদেশ আয়োজিত দেশের সবকটির শাখা শিক্ষকদের দুই দিনব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ২০১৯ এর পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণী সভায় আল্লামা মাসঊদ এসব কথা বলেন। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইকরা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন।

বদ্ধ করে রাখার কারণে পানিও  চেতনা হারায় নষ্ট হয়ে যায় দাবি করে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, মানুষও গ্রহণের ক্ষমতা হারালে বদ্ধ পানির মতো নষ্ট হয়ে যায়। এই বন্ধ্যাত্ব দূর হয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। প্রশিক্ষণ মানুষকে  নিজের জ্ঞানের ভেতরে পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে। পরিবর্তিত চেতনা গ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়।

শিক্ষকদের আস্থাভাজন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একজন আস্থাভাজন শিক্ষক খুঁজছে বিশ্ব। আস্থাভাজন শিক্ষকের কাছে একটু বসে চিন্তার দীনতা ঘুচিয়ে ফিরে যাবে শিক্ষার্থী। এমন শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থী স্বাদ অনুভব করতে পারে। পরিবর্তনীয় বিষয় শিখতে পারে। হজরত বেলাল রা. সে স্বাদ পেয়েছিলেন। তুমুল নির্যাতনের মুখেও তিনি আহাদ আহাদ বলতে পেরেছিলেন।

নিজের লক্ষ্যকে স্থির করার আহ্বান জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, একজন বিপ্লবীর স্থির লক্ষ্যকে কোনো রঙিন ফানুস আটকাতে পারে না। বর্তমান সবসময় অতৃপ্তির। ভবিষ্যৎকে সুন্দর করার জন্য প্রয়াসী হতে হবে।

মূল্যায়ন পরীক্ষায় পুরস্কার পান ইকরা ঢাকা কেন্দ্রের আবদুস সালাম, আবু হোরায়রা মারুফ, রংপুর শাখার মুরাদুর রহমান, হবিগঞ্জ ইকরার মুফতি আনোয়ার আমীর, শ্রীমঙ্গল ইকরার সাআদ উদ্দীন আহমেদ।

(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/জেবি)