‘সোনালী কাবিন’ রেখে চলে গেলেন আল মাহমুদ

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:১৬ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

'...আমার কাফন পরে আমি কতকাল কাত হয়ে শুয়ে...।' একটি কবিতায় এমনই পংক্তি ছিলো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের। এবার সত্যিই কাফন পরানো হলো কবিকে। নিরুত্তর মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন সোনালী কাবিনের কবি। টানা ছয় দিন অসুস্থতায় ভুগে শুক্রবার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার মাটিগন্ধময় এই কবি।

রাত ১১টা ৫ মিনিটে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতা‌লে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি .......রাজিউন)। ৮২ বছর বয়সী আল মাহমুদ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

কবির ব্যক্তিগত সহকারী আবিদ আজম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।।

গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত শনিবার সন্ধ্যার পর এই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল আল মাহমুদকে। প্রথমে সিসিইউ ও পরে আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

শুক্রবার রাত ১০ দিকে আল মাহমুদকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে রাত ১১ টা ০৫ মিনিটে ‘লাইফ সাপোর্ট’ খুলে নেওয়া হয়।

বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে সক্রিয় থেকে যিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গিতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন, তিনি কবি আল মাহমুদ। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবিও তিনি। তার প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। একাধারে একজন কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক তিনি।

১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আল মাহমুদ। সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি।

ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/ইএস/ডিএম