আত্মসমর্পণ করছেন ১০২ ইয়াবা কারবারি

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩২ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৯

কক্সবাজার প্রতিবেদক
ঢাকাটাইমস

কক্সবাজারের ১০২ জন ইয়াবা কারবারি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন। শনিবার সকালে তাদের ‘সেফহোম’ থেকে টেকনাফে আত্মসমর্পণ মঞ্চের পাশে আনা হয়েছে।

এই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. জাবেদ পাটোয়ারী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত রয়েছেন। 

শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মঞ্চের পাশেই একটি কক্ষে রাখা হয়েছে তাদের। তাদের পরনে স্বাভাবিক পোশাকই দেখা গেছে। আত্মসমর্পণকারীদের দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করছেন অনুষ্ঠানস্থলে।

পুলিশ জানায়, কক্সবাজার-টেকনাফ আরকান সড়ক যোগে তিনটি বাসে করে ‘সেফহোম’ থেকে টেকনাফে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে তোলার জন্য ইয়াবা কারবারিদের বিদ্যালয় ভবনের দোতলা কক্ষে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে বের করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে প্রতীকীভাবে ইয়াবা ট্যাবলট ও অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করানো হবে।

তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন গডফাদার। আত্মসমর্পণকৃতদের বিরুদ্ধে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের মামলা হবে জানা গেছে।

আজ আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির চার ভাই আবদুল আমিন, আবদুর শুক্কুর, মোহাম্মদ সফিক ও মোহাম্মদ ফয়সাল, ভাগিনা সাহেদুর রহমান নিপু এবং বেয়াই শাহেদ কামাল। আরও রয়েছেন টেকনাফ সদরের এনামুল হক মেম্বার, ছৈয়দ হোসেন মেম্বার, শাহ আলম, আবদুর রহমান, মোজাম্মেল হক, জোবাইর হোসেন, নূরল বশর নুরশাদ, কামরুল হাসান রাসেল, জিয়াউর রহমান, মোহাম্মদ নুরুল কবির, মারুফ বিন খলিল ওরফে বাবু, মোহাম্মদ ইউনুছ, ছৈয়দ আহমদ, রেজাউল করিম, নুরুল হুদা মেম্বার, দিদার মিয়া, জামাল হোসেন মেম্বার, মোহাম্মদ শামসুসহ অনেকে।

আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি সর্বশেষ তালিকায় ‘গডফাদার’ হিসেবে চিহ্নিত ৭৩ জনের মধ্যে অন্তত ৩০ জন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য ও সাবেক সংসদ আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহিন আক্তার বলেন, এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টেকনাফ ইয়াবামুক্ত হবে।

আর টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, আত্মসমর্পণের জন্য ইয়াবা কারবারিদের পাইলট বিদ্যালয়ের একটি ভবনে রাখা হয়েছে। তাদের মঞ্চে আনা হবে। তারপর পুরো প্রক্রিয়াটি শুরু হবে।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানকে ভাল উদ্যোগ আখ্যা দিয়ে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আছাদুদ-জামান চৌধুরী বলেছেন এখনো যেসব ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণের আওতায় আসেনি তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/ওআর