শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প দেখছেন না কাদের

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

এই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকার পর রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার কথা আবার জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তবে দল এবং সমসাময়িক রাজনীতিতে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ আছেন এমনটা দেখছেন না ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর শেখ হাসিনা চাইলেই রাজনীতি থেকে বিদায় হতে পারবেন না বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। কারণ দলীয় নেতাকর্মী এবং পরিস্থিতি তাকে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে দেবে না বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। 

সম্প্রতি জার্মানের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর আগেও তিনি বিভিন্ন বার রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে থাকবেন।

এ প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘তিনি এর আগেও বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের দলের নেতাকর্মীদের চাপের মুখে তিনি ঘোষণা দিয়েও সরে যেতে পারেননি। আসলে তিনি অনেক দিন ধরেই বলছিলেন আর কত? আমি তো অনেকদিন দায়িত্ব পালন করলাম। কিন্তু যেটা বাস্তবতা সেটা হচ্ছে যে এখনো শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প আমাদের পার্টিতে নেই। তার কোনো বিকল্প সমসাময়িক রাজনীতিতেও নেই।’

‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পঁচাত্তর পরবর্তীকালে গত ৪৩ বছরে তাকে কেউ অতিক্রম করতে পারেন। তিনি সবাইকে অতিক্রম করে গেছেন এবং নিজেকেও তিনি অতিক্রম করে গেছেন। এজন্য বিশ্লেষকরা তাকে স্টেটসম্যান বলেন।’

কাদের বলেন, ‘এই টার্মটা পাচ বছরের। পাঁচ বছর পর তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ এবং সবল থাকেন আমার মনে হয় না তার বিকল্প চিন্তার দরকার আছে। ওই সময় তার ৭৭ বছর হবে। ৭৭ বছরে অনেকেরই অনেক এবিলিটি থাকে। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ ৯৩ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। কাজেই পাঁচ বছর পরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম, অসমর্থ হবেন এটা আমরা এই মুহূর্তে ভাবতে পারি না। আর তিনি ছাড়তে সময় পরিস্থিতি তাকে ছাড়বে কী না নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়বে কী না সেটাও তো আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

এসয়ম আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন,  ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ। 

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/টিএ/জেবি)