অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ভাড়া কমানোর কথা ভাবছে সরকার

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫৪ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

দেশের অভ্যন্তীণ রুটে বেসরকারি ফ্লাইটে ভাড়া কমানো যায় কি না সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। 

রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ রুটে বাংলাদেশের প্লেনের ভাড়ার চেয়ে অনেক কম। আমাদের দেশে প্লেনের ভাড়া কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ভাড়ার ব্যাপারে বিভিন্ন ফ্যাক্টর কাজ করে। সরকারি এয়ারলাইন্সের ভাড়াতো তুলনামূলক কম। বেসরকারি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’

এ বিষয়ে অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ভারত সরকার সে দেশে পর্যটন এবং যোগাযোগব্যবস্থাকে সহজলভ্য করার জন্য এক্ষেত্রে বেশ ভর্তুকি দিয়ে থাকে। তাই সেখানে অভ্যন্তরীণ রুটে ভাড়া কিছু কম মনে হলেও ভায়াবিলিটি গ্যাফ হিসেবে সরকার ভর্তুকি দিয়ে প্লেন মালিকদের পুষিয়ে দেয়।

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানের উন্নয়নে সরকারও অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী ১০০টি ইকোনোমিক জোন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু বাস্তবায়নও হয়েছে। এজন্য দেশি-বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী আসছেন। হলি আর্টিজানের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী খুব ভালোভাবে হ্যান্ডেল করেছেন। এজন্য দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে এবং আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গায় আমরা ফিরে এসেছি। তাই এখন অনেক বিদেশি বাংলাদেশে আসছে। এজন্য এ সেক্টরটাকে আমাদের আরও উন্নয়ন করতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু আজকে বেশি আলোচনা হয়নি। জাস্ট পরিচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি চান এ সেক্টরটা আরও উন্নতি করুক।’

মাহবুব আলী বলেন, ‘কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো দেখতে আমি এক মাসের মধ্যে পাঁচবার বিমানবন্দর গিয়েছি। বিশেষ করে পাবলিকের কাজ থেকে সেবার মান নিয়ে অভিযোগ আসে। আমি সেখানে নিজে গিয়েছি, একসঙ্গে কাজ করেছি। এখন ইমিগ্রেশন শেষ করে আসার সঙ্গে সঙ্গে লাগেজ পাওয়া যাচ্ছে, এটা খুব আশার কথা।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ফাইভ স্টারের মর্যাদা দিয়েছে। সেটা আমার জন্য খুব সম্মানের। এজন্য বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।’ এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যেসব দাবি দাওয়া রয়েছে সেগুলো দেখবেন বলে আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/এমএম/জেবি)