এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ৫৭ কোটি টাকা দুর্নীতির প্রমাণ দুদকে

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে ৫৭ কোটি টাকা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে বিরাট অঙ্কের টাকা স্থানান্তরের অভিযোগটি দুদকের হটলাইন ‘১০৬’- এ এলে দুদকের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে উপ-পরিচালক এসএম সাহিদুর রহমান ও মাহমুদুর রহমানের সমন্বিত এনফোর্সমেন্ট টিম অনুসন্ধান করে এ তথ্য উদঘাটন করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ‘স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল  কোম্পানির পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ ও মহাব্যবস্থাপক শাহেদ পারস্পরিক যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ‘পিরামিড এক্সিম লিমিটেড’ ও ‘গুডউইন’ কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে অবৈধভাবে অর্থ জমা করেন।

সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড ও এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডে অনুসন্ধান করে এ তথ্য উদঘাটন করে দুদক। 

কোম্পানির পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রীর পিরামিড এক্সিম লিমিটেড কোম্পানির নামে গত তিন বছরে বিভিন্ন ব্যাংকে সর্বমোট ৪৩ কোটি টাকার বেশি এবং মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহেদের গুডউইন কোম্পানির নামে গত তিন বছরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা জমা ও উত্তোলনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রধান, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ কোনোভাবেই ব্যক্তিগত হিসেবে স্থানান্তরের সুযোগ নেই। এ দুর্নীতির অনুসন্ধান  শেষে শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নেবে দুদক। পুরো অনুসন্ধান প্রক্রিয়া কঠোরভাবে মনিটর করা হচ্ছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/এআর)