কুষ্টিয়ায় শিলা বৃষ্টিতে কৃষকের মাথায় হাত

কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:১৯

কুষ্টিয়ার মিরপুরে শিলা বৃষ্টিতে বিভিন্ন ফসলসহ ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হাজারো কৃষক। এছাড়া আবুরী-মাগুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের টিনের চাল ভেঙে গেছে। সেই সাথে ২০-২৫টি বাড়ির টিনের চাল শিলা বৃষ্টিতে ফুটো হয়ে গেছে।

রবিবার ভোর রাতে এ শিলা বৃষ্টি হয়।

এতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রাজনগর, নওদাপাড়া, কাকিলাদহ, আবুরী, বড়বাড়ীয়া, হিদিরামপুর, আজমপুর, মল্লিকপাড়া, নওদাআজমপুর, মিটন, বুরাপাড়া, মেহেরনগর, চক, বাশবাড়িয়া, শ্রীরামপুর, কুর্শাসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কাকিলদহ এলাকার মল্লিকপাড়ার কৃষক আবু বক্কর জানান, এবছর আমি বর্গা নিয়ে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে তামাকের চাষ করি। তামাকের খরচ প্রায় শেষের দিকে এখন বাড়িতে এনে শুকিয়ে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এর মধ্যে রাতে প্রচুর শিলা বৃষ্টিতে আমার সব তামাক নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষক মনিরুল ইসলাম জানান, আমি এবছর ৮বিঘা জমিতে তামাকের চাষ করি। তামাকের যে ক্ষতি হয়েছে তার বলার কোন অবকাশ নেই। আমার মতো এই এলাকার প্রায় ২শ তামাক চাষি একেবারে সর্বশান্ত হয়ে গেছে।

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এবছর মিরপুর উপজেলায় ৭হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে তামাক, ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে গম, ৯শ ১০ হেক্টর জমিতে মসুর, ১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান, ২১০ হেক্টর জমিতে পান, ৭৫০ হেক্টর জমিতে সবজি, ৩৭৫ হেক্টর জমিতে কলা, ১৮৫ হেক্টর জমিতে পেয়াজ ও ১১০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়।

এর মধ্যে রবিবার ভোর রাতে শিলা বৃষ্টিতে মিরপুর উপজেলার প্রায় ১ হাজার ৫০৮ হেক্টর জমির তামাক, ৩ হেক্টর জমির গম, ১ হেক্টর জমির মসুর, ৩ হেক্টর জমির ভুট্টার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমির তামাক, ৭০ হেক্টর জমির গম, ২৪ হেক্টর জমির মসুর, ৮০ হেক্টর জমির ভুট্টা, ৫ হেক্টর জমির পান, ৭ হেক্টর জমির সবজি, ৬০ হেক্টর জমির কলা, ৪০ হেক্টর জমির পেয়াজ ও ৩৫ হেক্টর জমির রসুনের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

আবুরী মাগুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, শিলা বৃষ্টিতে শ্রেণিকক্ষের চাল ফুটো হয়ে গেছে।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, মিরপুর উপজেলায় তামাক অর্থকারী ফসল হওয়ায় কৃষকরা তামাক চাষে বেশি আগ্রহ দেখায়। তবে আমরা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন প্রনোদনার মাধ্যমে তামাকের বিকল্প ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষকরা যদি তামাকের বিকল্প মসুর, ভুট্টা, গম, পেয়াজ, রসুন ও ধান চাষ করে তাহলে এ ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়ে লাভবান হতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :