আপিলেও বাদ রাজশাহীর ১০ প্রার্থী

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২৩:১৯

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর ১৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন ১০ জন। তবে আপিলেও তারা বাদ পড়েছেন।

রবিবার বিকালে শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্ত দেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পুঠিয়া, বাঘা, তানোর এবং দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জুলকার নায়ন জানান, আপিলকারী ১০ প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন শুনানিতে অংশ নেন। জেলা প্রশাসক তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। এছাড়া আপিল শুনানিতে অনুপস্থিত থাকার কারণে অন্য চার প্রার্থীও তাদের প্রার্থিতা ফিরে পাননি।

রাজশাহীর যে ১০ জন প্রার্থী আপিল করেছিলেন তারা হলেন, মোহনপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী শহিদ ইবনে শাহাদাত হোসেন, কামরুজ্জামান বুলু, বাঘার মেরাজুল ইসলাম মেরাজ ও দুর্গাপুরের আবদুল মজিদ সরদার, গোদাগাড়ীর ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সালমান ফিরোজ ফয়সাল ও বাগমারার এসএম এনামুল হক, মোহনপুরের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী বানেছা বেগম, চারঘাটের শাকিলা খাতুন এবং বাগমারার মমতাজ আক্তার বেবী ও শাহীনুর খাতুন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে মোট চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইকালে এদের মধ্যে তিনজনেরই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এর মধ্যে আপিল করেন দুইজন। তারাও বাদ পড়েন শুনানিতে। ফলে এই উপজেলায় এখন একমাত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত আবদুস সালাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তিনি।

এ উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সানজিদা রহমানেরও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকল না। প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বাগমারার প্রার্থী ও বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার বাবুলেরও। বাগমারা থেকে মোট তিনজন এবং মোহনপুর থেকে মোট চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়নপত্রে ত্রুটি থাকায় সানজিদা রহমান ও নাসিমা আক্তার বাবুলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়লেন।

এদিকে গোদাগাড়ীর মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সুফিয়া খাতুন মিলিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতির সঙ্গে ভোট করতে কেউ মনোনয়নপত্রই জমা দেননি।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রাজশাহীর সবগুলো উপজেলায় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে জেলার পবা উপজেলার নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। এখন নির্বাচন হচ্ছে বাকি আট উপজেলায়। এই নির্বাচনে অংশ নিতে তিনটি পদের বিপরীতে মোট ৯০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ১৬ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেন রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

রাজশাহীর বাগমারা, গোদাগাড়ী, মোহনপুর ও চারঘাট উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে বাতিলের পর যেসব প্রার্থী আপিলেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি- তারা এখন আদালতে যেতে পারেন। আদালত তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে। আর যেসব প্রার্থীদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই তাদের ব্যাপারে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। সেখান থেকে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট হবে।

রাজশাহীর আট উপজেলায় এখন ভোটের লড়াইয়ে চেয়ারম্যান পদে ১৯, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩২ এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন প্রার্থী থাকলেন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। ২০ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপর তারা আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবেন। ভোটগ্রহণ হবে ১০ মার্চ।

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/এলএ)