ওজন কমাতে ‘হিট’ পদ্ধতি

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫৮

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

ওজন কমাতে স্বল্প সময়ের তীব্র শরীরচর্চা বা ব্যায়াম অনেক বেশি কার্যকর। এমনটাই উঠে এসেছে একটি গবেষণায়। হাই ইনটেনসিভ ইনটারভেল ট্রেনিং বা হিট নামে পরিচিত এই শরীর চর্চার ফলে ওজন কমার হার দীর্ঘ সময়ের ব্যায়ামের তুলনায় অনেক বেশি।

ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এই গবেষণাটি ৩৬টি বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়েছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা এই ‘হিট’ পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন, তাদের ওজন কমার হার অন্যদের তুলনায় ২৮.৫ ভাগ বেশি।

তবে গবেষকদের মতে, এই পদ্ধতি সবার জন্য উপযোগী নাও হতে পারে। কারণ এর ফলে উচ্চ রক্তচাপসহ আরও কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে। জিলের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব গোইয়াসের একদল গবেষক ৫৭৬ জন পুরুষ ও ৫২২ জন নারীর ফিটনেস ট্রেনিং থেকে নেয়া বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য প্রকাশ করেন।

স্বল্প সময়ের এই হিট প্রশিক্ষণকে হৃদযন্ত্রের ব্যায়াম হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যাতে পুনরাবৃত্তিমূলক সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে তীব্র শারীরিক কসরত থাকে। একেকটি প্রচেষ্টার মধ্যে সময়ের ব্যবধানও খুব কম থাকে। এর মধ্যে আছে সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, দৌড়ানো এবং বক্সিং বা মুষ্টিযুদ্ধ।

এইভাবে শরীর চর্চার সঙ্গে তুলনা করা হয় তুলনামূলক দীর্ঘ সময়ের ব্যায়ামের। যেগুলো অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ীত্বের। যারা এই ইন্টারভেল ট্রেনিং করেছেন তাদের ওজন কমেছে গড়ে ১.৫৮ কেজি। আর যারা দীর্ঘ সময়ের শরীর চর্চা করেছেন তাদের গড় ওজন কমেছে ১.১৩ কেজি।

স্টিরিং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য ও ব্যায়াম বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নেইলস ভোলার্ডের মতে, বেশিরভাগ মানুষ দীর্ঘ সময়ের ব্যায়ামেই অধিক ক্যালোরি খরচ করে। কারণ হিট প্রশিক্ষণে অধিক শক্তি ব্যয় হয়। শরীরে এক-দুদিন তীব্র ব্যথা হতে পারে। এছাড়া ক্ষুদা কমে যেতে পারে। এটাই হিট পদ্ধতির সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়।

ঢাকাটাইমস/১৮ ফেব্রুয়ারি/এএইচ