অভাবী পাকিস্তানের জন্য সৌদির ২০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:০৮ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সফরে পাকিস্তান তার প্রত্যাশিত আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। দেশটি জন্য দুই হাজার কোটি ডলারের সহায়তা পেতে যাচ্ছে সৌদি আরব থেকে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় এক লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা হিসাবে)। খবর বিবিসির।

যেসব চুক্তি সই হয়েছে তার মধ্যে আছে বন্দর নগরী গোয়াদরে একটি তেল শোধনাগার। এতে ব্যয় হবে আটশ কোটি ডলার। এর বাইরেও জ্বালানি, পেট্রোকেমিকেল ও খনিজ খাত নিয়ে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সৌদি যুবরাজের দিকে চেয়েছিল ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার। এসব চুক্তি না হলে পাকিস্তানের বৈদেশিক পাওনা পরিশোধে সংকটে পড়তে হতো। এই পাওনা পরিশোধে পাকিস্তানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ কারণেই দেশটি আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইছিল।

সৌদি যুবরাজ কেবল উদার হস্তে সহায়তা দিয়ে আসেননি। ভবিষ্যতের জন্যও সুখবর দিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপের জন্য এটা বেশ বড় এবং নিঃসন্দেহে এটা প্রতি মাসে ও প্রতি বছর বাড়বে। এটা দুই দেশের জন্যই উপকারি হবে।’

পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ আছে আট বিলিয়ন ডলারে। এ কারণে বৈদেশিক দেনা পরিশোধে দেশটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

দেশকে সমৃদ্ধি এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখানো নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অনেকটাই অনুন্যোপায় হয়ে সৌদি আরবের দিকে হাত বাড়িয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরে ভর্তুকির পরিমাণও কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। আর যুবরাজ সালমানের সফরে তিনি পেলেন প্রত্যাশিত সহায়তা।

এই সংকটের মধ্যে রবিবার পাকিস্তান আসেন সৌদি যুবরাজ। আর ‘অভাবী’ দেশটি তার জন্য রাজসিক অভ্যর্থনার আয়োজন করে। তাকে তুষ্ট করতে সম্ভাব্য সব কিছুই করা হয়েছে।

সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে এশিয়া সফর করছেন যুবরাজ। তিনি মঙ্গলবার ভারত এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার চীন সফর করবেন। গত অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাসোগজি।

এই সফরের আগে আগে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনা বেড়েছে কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায়। ভারত সীমান্তে মহড়াও শুরু করে দিয়েছে। পাকিস্তানের আরেক প্রতিবেশী ইরানও নাখোশ তাদের ওপর। সেখানেও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানকে হুমকি দিয়ে রেখেছে দেশটি।

ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/ডব্লিউবি