ব্রিটিশ রাজপরিবারে দুই জায়ের বিরোধ, আলাদা হচ্ছে সংসার

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৭ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ছোট ভাইয়ের বিয়ের পর থেকে অশান্তি শুরু। দুই জায়ে ঝগড়া, চুলোচুলি লেগেই থাকে। মুখ দেখাদেখি বন্ধ হওয়ার জোগাড়। সাধারণত গ্পরিবারে এই ধরনের ঘটনা সুপরিচিত। তবে এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে বাদ পড়েনি ব্রিটেনের রাজপরিবারও। পরিস্থিতি এমনই, ‘ঘটিবাটি’ আলাদা হতে বসেছে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির।

দুই রাজকুমার ও তাদের স্ত্রীদের জন্য বিশেষ মিডিয়া সংক্রান্ত পরামর্শদাতা রয়েছে। কিন্তু তাদের হাজারো চেষ্টাতেও ঘরের ঝগড়া বাইরে আসা ঠেকানো যাচ্ছে না। গত কয়েক মাসে ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলকে নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত খবর হয়েছে ব্রিটিশ দৈনিকগুলোতে। প্রায় সবখানে ‘খলনায়িকা’ হিসেবে দেখানো হয়েছে হ্যারিপত্নীকে। এমনও শোনা যাচ্ছে, মেগানকে বোঝাতে গিয়ে হতাশ হয়েছে পড়েছেন পরামর্শদাতারা। তার কানে আর কথা পৌঁছয় না। এ ধরনের খবরের শীর্ষে রয়েছে ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট মিডলটনের সঙ্গে মেগানের ঝামেলার কথা।

সম্প্রতি একটি দৈনিকে দাবি করা হয়, মেগান নাকি বিয়ের পরেই অভিযোগ এনেছিলেন, তার ব্রাইডসমেডদের পোশাক ঠিক মতো বানানো হয়নি। আর এর জন্য দায়ী উইলিয়ামপত্নী কেট। আর একটি খবরে দাবি করা হয়েছিল, রাজপ্রাসাদের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন মেগান। এতটাই, যে আড়ালে তাকে ‘ডাচেস ডিফিকাল্ট’ বলে ডাকা হয়।

বৌদের ঝামেলার মাঝে বিপাকে পড়েছেন দুই ভাইও। এই মুহূর্তে দুই যুগলের জনসংযোগ সামলান ৩৭ বছর বয়সি জেসন নফ।

তিনি জানান, এখন থেকে তিনি শুধু উইলিয়াম ও কেটের বিষয়ে মন দেবেন। ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স-এর দেখভাল করবেন নফের ডেপুটি ক্রিশ্চিয়ান জোনস। সম্প্রতি একটি মার্কিন পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেগানের কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডাচেসের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। অন্তর্তদন্তের পরে জানা যায়, মেগানের সম্মতিতেই মিডিয়াকে ওই কথাগুলি বলেছিলেন তার বন্ধুরা। কিন্তু নফকে এ সম্পর্কে কিছুই জানাননি মেগান। ওই ঘটনার জবাবে মেগানের বাবা টমাস মার্কেলও মেয়ের লেখা একটি চিঠি সংবাদমাধ্যমের কাছে ফাঁস করেন।

শোনা যাচ্ছে, এরপরেই সাসেক্সের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন নফ। ২০১৫ সাল থেকে উইলিয়াম, কেট ও হ্যারির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছিলেন নফ। এই ঘটনায় নতুন করে প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে মেগানের। ১৯৯৫ সালে মিডিয়া পরমর্শদাতাকে না জানিয়েই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ডায়ানা। যার জেরে সে সময় চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল তাকে।

সূত্র: আনন্দবাজার 

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/এসআই)