বাজেটে ই-কমার্স খাতে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় ই-ক্যাব

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

আসন্ন জাতীয় বাজেটে অনলাইনে পণ্য বিক্রির ব্যবসাকে (ই-কমার্স) আরো এগিয়ে নিতে আগামী বাজেটেও কর অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখাসহ থোক বরাদ্দের সুবিধা চেয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। তাদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইÑক্যাব) দাবি, এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলে তা থেকে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ এবং ব্যবসা শুরু ও চালু রাখতে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া সম্ভব।  

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল কমার্স গেজেট-২০১৯ সম্পর্কিত আলোচনা এবং আসন্ন জাতীয় বাজেটে ডিজিটাল কমার্স সম্পর্কিত প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে ই-কমার্স নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে ইÑক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ‘ই-কমার্সকে জনপ্রিয় করার স্বার্থে আগামী বাজেটেও কর অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে। ক্রেতারা যেন অনলাইনমুখী হতে ও স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারেন, সেজন্য বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিতে হবে।’

‘ই-ক্যাব প্রথমে ই-কমার্স নীতিমালার খসড়া তৈরি করে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে জমা দিয়েছিল এবং সেই নীতিমালা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ চূড়ান্ত রূপ দেয়। সম্প্রতি এটি বাস্তবায়নে সরকার গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। তাই আমরা আশাবাদী, অচিরেই তা সুস্পষ্ট হবে।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘দ্রুততম সময়ে গেজেট আকারে ই-কমার্স নীতিমালা প্রকাশ বর্তমান সরকারের সাহসী উদ্যোগ এবং দেশের ই-শিল্পায়নে তা মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’

‘বর্তমান আইনে অনলাইনে পণ্য বিক্রি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা হলেও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার মতো অফিস ভাড়ার ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি সম্পর্কিত কোনো সুষ্পষ্ট বক্তব্য উল্লেখ নেই। আমরা আশা করছি, আগামী বাজেটে পরিষ্কার উল্লেখ করে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হবে।’

ই-ক্যাবের প্রস্তাবনা তুলে ধরে তিনি বলেন, সুষম উন্নয়নে আগামী বাজেটে ই-কমার্স খাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দ দিতে হবে। এ বরাদ্দ এক হাজার কোটি টাকার মতো হলে তা থেকে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ এবং ব্যবসা শুরু ও চালু রাখতে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া সম্ভব।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/প্রতিবেদক/এআর)