নতুন ব্যাংক সম্পর্কে এখনো জানেন না অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫৩
ফাইল ছবি

রবিবার নতুন অনুমোদন পাওয়া তিন ব্যাংকের বিষয়ে পুরোপুরি অবহিত নন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। ফলে নুতন অনুমোদন পাওয়া এই তিন ব্যাংকের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চান না তিনি।

সোমবার সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি এই মহুর্তে কোনো কথা বলব না। তিনটি ব্যাংক সম্পর্কে আগে আমাকে জানতে হবে। তিনটি ব্যাংক সম্পকে আরও জানা দরকার। আমি এখনও ভালো জানি না। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সঙ্গে আলাপ করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেব। তখন আমার জন্য বলা ভালো হবে।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ব্যাংকগুলো হলো- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক। এ তিন ব্যাংক অনুমোদনের ফলে দেশে সব মিলিয়ে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টিতে।

‘তবে সেন্ট্রাল ব্যাংক যেহেতু অনুমোদন দিয়েছেন তাদের প্রয়োজন না থাকলে এ কাজ করতো না। সেন্ট্রাল ব্যাংক হয়তো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন তাই হয়তো অনুমোদন দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি এখন অবগত নই। আলাপ করে জানাতে পারব।’

বাংলাদেশে নতুন ব্যাংকের প্রয়োজন নেই বলে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে কতটা ব্যাংক আছে সেটা বড় কথা নয়। ব্যাংকগুলো যদি স্বাভাবিকভাবে চলে, নিয়মনীতি মেনে চলে এবং যদি ব্যাংক যে উদ্দেশ্যে করা সেই উদ্যেশে যদি কাস্টমার সাভিস দিতে পারে, আর যদি নিয়মের মধ্যে থাকতে পারে তাহলে ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।’

‘কারণ, আমাদের যে ব্যাংকগুলো আছে তাদের চারশ থেকে পাঁচশ কোটি টাকা পেইড আপ ক্যাপিটাল। এটা কিছুই নয়। বিদেশি কোন ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চের যে পেইড আপ ক্যাপিটাল আছে তা আমাদের বিশটি ব্যাংকেরও নেই। ফলের ব্যাংকের সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করলে চলবে না। আমাদের বিবেচনা করতে হবে ব্যাংকের চাহিদা আছে কি না সেটা।’

‘তবে আমি মনে করি সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা কমপ্লিট একটি স্টাডির ভিত্তিতেই নতুন ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দিয়েছেন। তবে এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হবে। ক্লাসিফাইড লোন (শ্রেণিকৃত বা খেলাপি ঋণ) দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। এসব ক্লাসিফাইড লোন থেকে কীভাবে অব্যহতি পেতে পারি সে বিষয়ে আমরা কথা বলছি। আমরা মনে হয় আমরা একটি সমাধানে আসতে পারব।’

‘ক্লাসিফাইড লোন যতই বেড়ে যায় তই ব্যাংকের খরচ বেড়ে যায়, ব্যাংক ইন্টারেস্ট বেড়ে যায়। এটা আমাদের কমাতে হবে। এটা কমাতে আমরা স্পেশাল অডিটের ব্যবস্থা করব’- যোগ করেন নতুন অথমন্ত্রী।

ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/এমএম/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :