ছাত্রজোটের ভিসি কার্যালয় ঘেরাও

বয়সসীমায় আটকালে ডাকসুর ‘মনোনয়নপত্র নেবে না’ ছাত্রদল

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৭ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪৬

ঢাবি প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

নিজেদের দাবি বাস্তবায়িত না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র নেবে না বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বলেছে, দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বিতর্ক অব্যাহত রাখবে তারা।

নির্বাচনের প্রথম থেকেই সহাবস্থান নিশ্চিত, ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে রাখাসহ কয়েকটি দাবি জানিয়ে আসছে ছাত্রদল ৷ বিশেষ করে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা বাতিলের দাবি সংগঠনটির।

যদিও কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃত্বসহ অধিকাংশ নেতারই ছাত্রত্ব না থাকা ও বয়স অনেক বেশি হওয়ায় নির্বাচনে প্রার্থী দিতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে ছাত্রদলকে। আবার ডাকসু নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রায় এক দশক পর নির্বিঘ্নে ক্যাম্পাসে প্রবেশ, মিছিল ও অবস্থানের সুযোগও পেয়েছে সংগঠনটি।

আগামী ১১ মার্চের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে। এর আগের দিন সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, 'আগামীকাল থেকে যে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হবে, সেটাতে আমরা অংশগ্রহণ করবো না ৷ আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা মনোনয়নপত্র নেবো না।’

বেলা পৌনে ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে আসেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। এর প্রায় আধাঘণ্টা পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী আসেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আকরাম বলেন, 'দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের বিতর্ক অব্যাহত থাকবে। আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে চাই। আমাদের দাবি না মেনে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তে আমরা কষ্ট পাবো। কিন্তু ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক থাকছি।’

এদিকে, দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) কার্যালয় ঘেরাও করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে স্থাপনসহ ছয় দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল নিয়ে ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। সংক্ষিপ্ত ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন আধিপত্য ও দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। এ অবস্থায় হলে ভোটকেন্দ্র হলে নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে তারা।’

‘নির্বাচনের আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ ছাত্র সংগঠন হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র করার দাবি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা উপেক্ষা করেছে।’

ছাত্রলীগকে বিশেষ সুবিধা দিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অগণতান্ত্রিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইকবাল কবীর। অবিলম্বে এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/প্রতিবেদক/এআর)