হত্যার পর বালুচাপা, মুক্তিপণ নিতে এসে ধরা

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪১

কুমিল্লা প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লায় অপহরণের ১৬ ঘণ্টা পর আলী আব্বাস তৌহিদ নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ বালুর নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার নগরীর কোটবাড়ি গন্ধমতি বালুর মাঠে চাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তৌহিদ কুমিল্লা কোটবাড়ি সালমানপুর মাস্টার বাড়ির আবু মুসার ছেলে। সে কুমিল্লা টেকনিক্যাল ট্রেনিং কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গন্ধমতি বোনের জামাই ইসমাইলের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো তৌহিদ।

পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার রাত থেকে আলী আব্বাস তৌহিদ নিখোঁজ হয়। বহু খোঁজাখুঁজির পর রাত ১০টায় তৌহিদের দুলাভাই ইসমাইল কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে রাত ১২টার দিকে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসে ইসমাইলের মোবাইলে। অপহরণকারীরা জানায়, তৌহিদকে অপহরণ করা হয়েছে এবং মুক্তিপণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে তারা। টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে অপহরণকারীদের বিকাশ নাম্বার চান দুলাভাই ইসমাইল। অপহরণকারীরা বিকাশ নাম্বার না দিয়ে সরাসরি টাকা লেনদেনের কথা বলে। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় সাত্তার খাঁন শপিং কমপ্লেক্সের গাড়ি পার্কিংয়ে টাকা নিয়ে আসতে তৌহিদের পরিবারকে বলে অপহরণকারীরা। সোমবার দুপুরে অপু নামে এক অপহরণকারী মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা নিতে এলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপু নামে ওই অপহরণকারী জানায় কুমিল্লার রেলওয়ে  স্টেশন মার্কেটের হোটেল আজমিরের ম্যানেজার মাজহারুল তৌহিদকে অপহরণ করতে বলে। অপহরণের প্রয়োজনে তাকে একটি মোবাইলও দেয় ম্যানেজার মাজহারুল। পরবর্তী সময়ে তৌহিদের সন্ধান চাইলে অপহরণকারী অপু জানায়, অপহরণের পর তৌহিদকে হত্যার পর গন্ধমতি বালুর মাঠে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ দুপুর ২টায় ওই বালুর মাঠ থেকে তৌহিদের মরদেহ উদ্ধার করে।

কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আনোয়ার হোসেন বলেন, অপহরণের সাথে হোটেল আজমিরের ম্যানেজারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/জেবি)