কীটনাশকের অভিশাপে আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি

মাহবুব কবির মিলন
 | প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৪

কীটনাশক ব্যবস্যা কতটা রমরমা এবং লাভজনক হলে শুধু লালমনিরহাট জেলায় কীটনাশকের ডিলার আছে প্রায় ১৪০০ জন। কীটনাশকের ব্যবহার যাতে না কমে, সেজন্য ম্যাঙ্গো ব্যাগিং কে নিরুৎসাহিত করার জন্য চলে আসছে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। ম্যাঙ্গো ব্যাগিং করলে কীটনাশক স্প্রে করতে হয় মাত্র তিন বার। সাধারণ আম চাষে যেখানে দিতে হয় প্রায় ২০ থেকে ৬০ বার।

আর এই চালে পড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্যাগিং ম্যাঙ্গো রপ্তানির দরজা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে আমাদের দেশের বিশাল সম্ভাবনাময় এক রপ্তানি খাত। আম রপ্তানি।

চাল এত সুক্ষ যে, কারো চৌদ্দগুষ্টির ক্ষমতা নেই তা ধরে। ম্যাঙ্গো ব্যাগিং এ যে রিসার্চ অফিসারের অবদান, তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্র থেকে বদলি করা হয়েছে সিলেটে। বেচারা বোধহয় এখন চাপাতা নিয়ে ডলাডলি করে চলেছেন। আমের লোককে পাঠানো হয়েছে চায়ের অঞ্চলে।

বিদেশে পান এবং সবজিতে কীটনাশকের উপস্থিতি থাকায় আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। জানি না, কোন পথ বের করা সম্ভব হবে কিনা। তবে আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি, এই কীটনাশকের অভিশাপে। কী দেশে, কী বিদেশে রপ্তানি বাণিজ্যে।

টি- গার্ডেনের কীটনাশক মারাত্মক ক্ষতিকারক বলে তা শাক সবজি, ফসলে দেয়া একেবারে নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। চা পাতার কীটনাশক দেধারে বিক্রি এবং ব্যবহার হচ্ছে শাকসবজি এবং ফসলে। সিলেটের কীটনাশক কেন খুলনা বা রংপুরে, তা নিয়ন্ত্রণ করার মতো কেউ নেই।

কোথাও কেউ নেই আমাদের। শুধু আছে টাকা আর টাকা। আর রেখে যাচ্ছি আমাদের বাচ্চাদের জন্য এক অভিশপ্ত জীবন। কীটনাশক দিয়ে একদিন শরবত করে খেতে হবে এই জাতিকে।

লেখক: যুগ্ম সচিব; সদস্য, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :