পারিশ্রমিক পরিশোধ না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:০৮

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। আগামী ৮ মার্চ শুরু হবে লিগ। তবে তার আগে অনুষ্ঠিত হবে একটি টি-টোয়েন্টি লিগ। ঘরোয়া লিগে এর আগে অনেকবারই খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধ করা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। তবে এবার ক্লাবগুলো যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধ করে সেজন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় তুলে ধরেন ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ।  

কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচক, কোয়াবের সঙ্গে বসে আমরা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেছি। সেই সঙ্গে সকল ক্লাব যেন পেমেন্ট ঠিক মতো করে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেউ যদি পেমেন্ট পরিশোধে ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে টপ চার্ট থেকে নামিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি লিগ থেকে সাসপেন্ড করতে পারি। আমরা চাই না, দুই একটা দলের জন্য বাকি ক্লাবগুলোরও বদনাম হোক। গতবার ভালোভাবে আমরা লিগ শেষ করেছিলাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘দুই বছর আগে আলাপ করেছিলাম প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো নিয়ে আমরা একটি টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করব। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবার আমার ঢাকা লিগের আগে ছোট আকারের একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি। চেষ্টা করব প্রতিবছর এই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করার।’

সিসিডিএম চেয়ারম্যান বলেন, ‘১২টা দলকে চারটা ভাগে ভাগ করে আমরা টুর্নামেন্টটি শুরু করব। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পাবে। দুটি সেমিফাইনাল থেকে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। মিরপুরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের কৃত্রিম আলোতে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩ মার্চ। এই টুর্নামেন্টের পর কয়েকদিন বিরতি দিয়ে ৮ মার্চ আমরা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু করব।’

আম্পায়ারিং নিয়ে কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘গত বছর আম্পায়ারিং নিয়ে আমাদের কাছে তেমন কোনো প্রশ্ন আসেনি। যখনই কোনো অভিযোগ এসেছে আমরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসেছি। আমি আম্পায়ার্স কমিটির মেম্বার, সেক্রেটারি যারা আছেন তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদেরকে অনুরোধ করেছি প্রতিটি মাঠে যেন আম্পায়ার ভালো মানের হয়। এখন মাঠে ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। আমাদের বোর্ড সভাপতি সব সময় চান ঢাকা লিগটা যেন ভালো মতো শেষ হয়। আমরা সব সময়ই চেষ্টা করব আম্পায়ারিংটা যেন ভালো মানের হয়।’

তিনি বলেন, ‘গত বছর রিটেইনশন ছিল পাঁচটা। এবার তিনটা। তবে কোন ক্লাব দুইজন খেলোয়াড়কে এক্সচেঞ্জ করতে পারবে।  অনেক ক্লাবরে অনুরোধ ছিল তারা প্লেয়ার পায় না। এই কারনে এটা রাখা হয়েছে। অনেক সময় ড্রাফটে থেকে কিনে নেওয়ার প্লেয়ারদের বাজেট বেড়ে গেছে, তারা তখন ওই প্লেয়ারকে বিক্রি করে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবে। এই কারনে তারা তখন অনুরোধ করেছিল, এই সিস্টেম রাখলে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে খেলোয়াড় দলভুক্ত করতে পারবে।’

ইনাম আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য বিপিএল পিছিয়ে গেছে। আর এই কারণে প্রিমিয়ার লিগটাও পিছিয়ে গেছে। গতবারের আগের বার পুরো বৃষ্টির মৌসুম ছিল। আগামী বছর বিপিএলটা আগে শেষ হয়ে গেলে ঢাকা লিগটা যথাসময়ে শুরু করতে পারব। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমাদের অনেক ক্যালেন্ডার। সেগুলো বিবেচনা করেই আমাদের ক্যালেন্ডার করতে হয়েছে।’

সিসিডিএমন চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট অনেকের রুটি রুজির জায়গা। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে টুর্নামেন্টটা যেন সঠিক সময়ে মাঠে গড়ায়। বাইরের দেশেগুলোতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ঘরোয়া ক্রিকেট সেভাবে খেলতে পারে না।’

ডিপিএল ও টি-টোয়েন্টি লিগ সম্প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, সম্প্রচার করার কথা, এবারও বলছি। আমি চেষ্টা করব। আপনারা কেউ যদি আগ্রহ থাকেন তাহলে বলেন, আমি ব্যবস্থা নিব। আমাদের সুপার লিগের কিছু খেলাও দেখানো যেত। কিন্তু কারো কাছ থেকেই আগ্রহ পায়নি। এবার টি-টোয়েন্টি করছি, আশা করব এবার না পারলেও পরের বার টি-টোয়েন্টি টিভিতে দেখানোর ব্যবস্থা করতে পারব।’

খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নির্ধারণে তিনি বলেন, ‘অনেক খেলোয়াড় অনুরোধ করেছে, কম পেলেও যেন তারা দল পায়। গত লিগের পারফরম্যান্স মুল্যায়ন করেই তাদের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৮ ফেব্রুয়ারি/এইচএ/এসইউএল)