সৌদি যুবরাজের পাশে চালকের আসনে ইমরান

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৩৫ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৩৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তানে আসেন। গতকাল রবিবার রাতে দেশটির রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটিতে তিনি পৌঁছান। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিমানঘাঁটিতে মোহাম্মদ বিন সালমানকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর ইমরান খান নিজেই গাড়ি চালিয়ে রাষ্ট্রীয় এই অতিথিকে পিএম হাউসে নিয়ে যান।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সফর উপলক্ষে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি শহরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তাকে সংবর্ধনা জানাতে বিমানঘাঁটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। বিমান থেকে নামার পর ৩৩ বছর বয়সী সৌদি প্রিন্স প্রথমে ইমরান খানের বাসভবনে যান। সেখানে তার সফর উপলক্ষে একটি স্বাগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমন্ত্রণে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স সরকারি সফরে পাকিস্তান এসেছেন। সৌদি রাজকীয় বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢোকার পর দেশটির কয়েকটি যুদ্ধবিমান সেটিকে পাহারা দিয়ে বিমানঘাঁটি পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। পরে বিমানঘাঁটিতে সৌদি যুবরাজের সম্মানে ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়।

এই সফরে ২০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। জ্বালানি উৎপাদনে সহযোগিতা, তেল শোধনাগার, পেট্রোক্যামিকেল প্ল্যান্ট স্থাপন, খেলাধুলার প্রচার ও নির্দিষ্ট খাতে কৌশলগত সহায়তাসহ বিভিন্ন খাতে এ অর্থ ব্যয় হবে।

সৌদি যুবরাজকে স্বাগত জানাতে গত রাতে পাকিস্তানের পিএম হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইমরান খান সৌদি আরবে থাকা পাকিস্তানি শ্রমিকদের দুর্ভোগের প্রতি এমবিএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ‘তাদের নিজের দেশের মানুষ’ হিসেবে দেখতে অনুরোধ করেন।

ইমরান খান বলেন, ‘সেখানে প্রায় ৩ হাজার বন্দী রয়েছে। আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, তারা খুবই গরিব লোকজন। তারা তাদের পরিবার ফেলে সেখানে গিয়েছে।’ জবাবে এমবিএসও নিরাশ করেনি। দিয়েছেন আশ্বাস। বলেছেন, ‘আমরা পাকিস্তানকে না করতে পারি না...আমাদের পক্ষে যা করণীয়, আমরা তা করব।’

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজ টুইট করে লিখেন, ‘আমি যখন সৌদি আরবে থাকা আমাদের ২৫ লাখ নাগরিককে নিজেদের মানুষ বলে ভাবতে বললাম, তখন যুবরাজ তাকে সৌদি আরবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মনে করতে বললেন, তখনই তিনি পাকিস্তানের জনগণের মন জয় করে নিয়েছেন।’

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফুয়াদ চৌধুরী টুইট করেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি যুবরাজ তাৎক্ষণিক সে দেশে থাকা ২ হাজার ১০৭ জন পাকিস্তানি বন্দীকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেন।’

সোমবার রাতে তিনি পাকিস্তান সফর শেষ করে ইসলামাবাদ ত্যাগ করেন। এই সময় তাকে বিদায় জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/এসআই)