আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৮ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
ফাইল ছবি

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা, ইহকাল-পরকালের শান্তি ও দেশের কল্যাণ কামনা করে শেষ হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার শেষ হয় তাবলিগ জামাতের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা।

মাওলানা সাদ অনুসারীদের পরিচালনায় দ্বিতীয় পর্বের তিন দিনের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১টার কিছু পর। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা মুহাম্মদ শামীম।

আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিরা আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য সৃষ্টিকর্তার দরবারে দুই হাত তুলে রহমত কামনা করেন। মোনাজাতের সময় ময়দান ছাড়িয়ে আশপাশে অবস্থান করা মুসল্লিদের মুখে ছিল ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনি। ইজতেমার ময়দান ও তুরাগ নদের চারপাশ এলাকায় লাগানো মাইকে ছড়িয়ে পড়ছিল প্রার্থনার এই মিনতি।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব গতকাল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় একদিন বাড়ানো হয়।

ইজতেমার মূল মঞ্চ থেকে বেলা সাড়ে ১১টার কিছু পর শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা মুহাম্মদ শামীম। তিনি আরবি ও উর্দুতে সুমধুর সুরে দোয়া করেন। মুসল্লিরা ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ বলে মহামহিম ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় আকুতি জানান। প্রায় আধা ঘণ্টার মতো অনুষ্ঠিত হওয়া আখেরি মোনাজাত শেষ হয় দুপুর ১২টা ২ মিনিটে।

এর আগে মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর রাত থেকে মুসল্লিরা হেঁটে ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। অনেকে মাঠে না গিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়ায় খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। নানা বয়সী ও পেশার মানুষ এমনকি নারীরাও মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গী এলাকায় পৌঁছান।

এর আগে বাদ ফজর বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা হাফেজ ইকবাল নায়ার। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশি মাওলানা ওসামা বিন ওয়াসিফ।

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হেদায়েতি বয়ান শুরু করেন দিল্লির মাওলানা মুহাম্মদ শামীম। বয়ানে তিনি বলেন, যে দ্বীন ইসলামের বিধান অনুসারে চলবে এবং হজরত মুহাম্মদের (সা.) জীবনাদর্শ অনুসরণ করবে সে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জন করবে।

তাবলিগ জামাতের দ্বন্দের কারণে এবার পূর্বঘোষিত তারিখে ইজতেমা আয়োজনে বিলম্ব হয়। পরে স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় তাবলিগের উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে এবারের ইজতেমা একসঙ্গে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এবার একটানা চার দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। দুপক্ষ দুই ভাগে এর নেতৃত্ব দেন। প্রথম ভাগে যোবায়ের পন্থীরা ইজতেমার আয়োজন করে। এরপর দ্বিতীয় ভাগে ইজতেমার আয়োজন করে সা’দ পন্থী ওয়াসিকুল অনুসারীরা।

ঢাকা টাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/এমআর