সেনবাগে চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন

নোয়াখালী প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৪

১৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর সেনবাগবাসীর জন্য শোকবহ এক স্মরণীয় দিন। ১৯৬৯ সালের এই দিনে নিহত চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সর্বস্তরের জনগণ।

মঙ্গলবার সকালে সেনবাগ থানার মোড়ে লেখক ফোরামের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্রদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন হয়।

এতে ফোরামের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবু তাহের বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী আমান উল্যা, সাংবাদিক খোরশেদ আলম, এম এ আউয়াল, ভাসানী সংসদের সভাপতি আবদুস ছোবহান প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, আ'লীগ নেতা ভিপি দুলাল, কবি জাহাঙ্গীর বাবু, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক মো. হারুন, খন্দকার নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

জানা গেছে, ১৯৬৯'র এ দিনে সার্জেন্ট জহুরুল হক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামসুজ্জোহাকে হত্যার প্রতিবাদে নোয়াখালীর সেনবাগে কালো দিবস পালনকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন চার যুবক। এরা হলেন, পৌরশহর অর্জুনতলা গ্রামের অফিজের রহমান, বাবুপুর গ্রামের আবুল কালাম, জিরুয়া গ্রামের সামছুল হক ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খুরশিদ আলম। ওই সময় পুলিশের গুলিতে আরো ১৮ জন আহত হন। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ৬৯-এর সেই ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার পায়নি রাষ্ট্রীয় কোন সুযোগ সুবিধা এবং সংরক্ষণ করা হয়নি শহীদদের কবর। তৎকালীন সময়ে ঘটনার দু’দিন পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনবাগে এসে নিহত শহীদের কবর জেয়ারত করে পরিবারের লোকজনের মাঝে ৫’শ টাকা অনুদান ও একটি করে সনদপত্র তুলে দেন। সরকারিভাবে কোন সুযোগ সুবিধা না পেলেও জিরুয়া গ্রামের শহীদ সামছুল হকের মা স্বামীর সম্পত্তি বিক্রি করে পুত্রের কবর পাকা করণ ও ছেলের নামে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করে ইন্তেকাল করেন।

প্রতি বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি নিহত চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন, স্মারকলিপি নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :