স্কুলছাত্র হত্যায় দুই অপহরণকারী কারাগারে
কুমিল্লায় অপহরণের পর স্কুলছাত্র আলী আব্বাস তৌহিদকে (১৪) হত্যা করে লাশ বালু চাপার মামলায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুই আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দেলী গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম মবিন ওরফে অপু এবং কুমিল্লার রেলওয়ে স্টেশন মার্কেটের হোটেল আজমিরের ম্যানেজার মাজহারুলকে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়।
তৌহিদের বড় ভাই জাহিদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
কুমিল্লা কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, অপহরণকারী মবিনের বাবা সোলাইমান বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কুমিল্লায় চাকরি করতেন। সেই সূত্রে মবিন পরিবারের সাথে কুমিল্লা কোটবাড়িতে থাকতেন। নিহত তৌহিদের সাথে অপহরণকারী মবিনের পরিচয় ছিল। কুমিল্লা থেকে মবিনের বাবা চট্টগ্রাম বিজিবিতে চলে যান। সেখানে যাওয়ার পর তার মা মারা যান। মবিনের বাবা দ্বিতীয় বিবাহ করেন। দীর্ঘদিন কুমিল্লায় থাকায় বন্ধু-বান্ধব বেশি থাকায় অপহরণকারী মবিন চাকরি করতে কুমিল্লায় চলে আসে। কুমিল্লার রেলওয়ে স্টেশন এলাকার হোটেল আজমিরে চাকরি নেন মবিন। হোটেলের ম্যানেজার মাজহারুলের নির্দেশে মবিন তার পূর্ব বন্ধু তৌহিদকে অপহরণের চিন্তা মাথায় নেয়।
তিনি বলেন, হোটেল ম্যানেজার মাজহারুল ও মবিন মিলে রবিবার বিকালে তৌহিদকে বাসা থেকে ডেকে আনেন। অপরণের পর তৌহিদের কাছ থেকে নম্বর নিয়ে তার দুলাভাই ইসমাইল হোসেনের নিকট পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। গভীর রাতে কোটবাড়ি গন্ধমতি বালুর মাঠে তৌহিদকে নিয়ে যায়। তৌহিদ একপর্যায়ে চিৎকার করলে অপহরণকারীরা তার কোমরের বেল্ট দিয়ে গলা চেপে ধরে। তখন শ্বাসরোধ হয়ে তৌফিকের মৃত্যু হয়। তারপর ওই বালুর মাঠে বালু চাপা দিয়ে অপহরণকারীরা কুমিল্লায় চলে যান।
সোমবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি গন্ধমতি বালুর মাঠে চাপা দেয়া আলী আব্বাস তৌহিদ (১৪) নামে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তৌহিদ কুমিল্লা কোটবাড়ি সালমানপুর মাস্টার বাড়ির আবু মুসার ছেলে। সে কুমিল্লা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গন্ধমতি বোনের জামাই ইসমাইলের বাড়িতে থেকে পড়া-লেখা করত তৌহিদ।
(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/এলএ)