রাজশাহীতে প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫৬

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রতীক বরাদ্দ শুরু করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা। দুপুরের মধ্যেই প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শেষ হয়।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজশাহীর ৮ উপজেলা থেকে এবার ৮৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ১৬ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।

আর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন ৮ জন। অবশিষ্ট ৬৫ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।

এখন ৮ উপজেলায় ১৭ জন চেয়ারম্যান, ৩০ জন ভাইস-চেয়ারম্যান ও ১৮ জন মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী রয়েছেন। অবশ্য এদের মধ্যে পাঁচজনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাদেরকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের বিজয়ীও ঘোষণা করা হয়েছে।

এবার চেয়ারম্যান পদে মোহনপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম এবং বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী লায়েব উদ্দিন লাভলু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন গোদাগাড়ীর সুফিয়া আক্তার মিলি, মোহনপুরের সানজিদা রহমান ও বাগমারার নাছিমা আক্তার।

রাজশাহীর পুঠিয়া, বাঘা, তানোর ও দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জুলকার নায়ন ও বাগমারা, গোদাগাড়ী, মোহনপুর এবং চারঘাট উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন।

জুলকার নায়ন বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ১৬ জনের প্রার্থিতা বাতিলের পর ১০ জন আপিল করেছিলেন। তবে আপিলেও তারা বাদ পড়েন। এর ফলে পাঁচজন প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে তাদের প্রতীকও বরাদ্দ করা হয়েছে। কেননা, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা উচ্চ আদালতে প্রার্থিতা ফিরেও পেতে পারেন। কোনো প্রার্থীর ক্ষেত্রে এ রকম হলে নির্বাচন হবে।

আরেক রির্টানিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার থেকে আগামী ৮ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন।

প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে চলছেন কী না, তা দেখার জন্য প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে তারা ব্যবস্থা নেবেন। ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১০ মার্চ।

ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/ওআর