চকবাজারে আগুনে মৃতের সংখ্যা ৭০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২২ | প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৮:২২

পুরান ঢাকার চকবাজারে রাজ্জাক ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৭০ জন। সকাল আটটা নাগাদ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে এই সংখ্যাই প্রচার করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়াদের এখনও সনাক্ত করতে পারছেন না স্বজনরা। রাজ্জাক ভবনের বাইরের শুধু আহাজারি। আগুনে দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ভবনের ভেতরে আটকা পড়ে আছেন আরও অনেকে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনও সেখানে পৌছাতে পারেনি। স্বজনরা তাই একবার ঢাকা মেডিকেলে ছুটছেন তাদের আপনজনদের খুঁজতে, আরেকবার ঘটনাস্থলে আসছেন।

ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর তারেক হাসান জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে তারা আগুন লাগার খবর পান। এরপর দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট এসে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত তিনটার দিকে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে থেমে থেমে এখনও সেখানে বিস্ফোরণ ঘটছে।

ইতিমধ্যে ওই এলাকায় একটি অস্থায়ী কমান্ডপোস্ট বসিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রাত থেকে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। পাশাপাশি সকালে হেলিকপ্টারে করে উপর থেকে পানি ছিটানোর পর আগুন আর দেখা যাচ্ছে না।

তারপরও থেমে থেমে কিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, রাজ্জাক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা ছিল এবং ওই ভবনের পাশে বেশ কিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেগুলোর প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচটি করে গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও ভেতরে এখনও জ্বলছে। রাসায়নিকসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন পুরো নেভাতে অনেক সময় লাগবে।’

স্থানীয়রা জানায়, চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশে প্রয়াত ওয়াহিদ চেয়ারম্যানের চার তলা ভবনটিতে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর তা পাশের রাজমনি নামে একটি রেস্তোরাঁ এবং সরু রাস্তার উল্টো দিকের তিনটি ভবনে ছড়ায়। যে ভবনে প্রথম আগুন লাগে, তার নিচতলায় একটি দোকান রয়েছে, দোতলায় রয়েছে বিভিন্ন প্রসাধন-প্লাস্টিক সামগ্রীর গুদাম। উপরের দুটি তলায় রয়েছে বাসা।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আগুন লাগার পরপরই চার তলা ভবনটির সামনে থাকা বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। ওই সময় রাস্তায় থাকা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহম্মেদ বলেন, চকবাজারের সরু সড়কে ভবনগুলো ঘেঁষাঘেষি করে তৈরি করায় আগুন নেভানোর কাজ করতে কর্মীদের বেগ পোহাতে হয়। পাশাপাশি ওই এলাকার দোকান ও গুদামগুলোতে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকাটাইমস/২১ ফেব্রুয়ারি/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :