‘শামীমার বিষয়টি বাংলাদেশের কিছু নয়’

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০৩

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

মাত্র ১৫ বছর বয়সে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএসে যোগ দেয়া শামীমা বেগম ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারাতে পারেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, যেহেতু তার বয়স ১৯ হয়েছে তাই তিনি অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য।

ধারণা করা হচ্ছে, শামীমা বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। যদিও সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন তার কখনই বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছিল না এবং তিনি কখনই বাংলাদেশে যাননি।

ব্রিটেনে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত আইনের সাবেক পর্যালোচনাকারী লর্ড কার্লাইল বলেছেন, শামীমার মা যদি বাংলাদেশি হয়ে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী সেও বাংলাদেশি। কিন্ত শামীমার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব এবং বাংলাদেশে তার আশ্রয় লাভের সম্ভাবনার ব্যাপারে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ কতটা জানেন?

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক দুজনেই বলেছেন, ‘শামীমার বিষয়টি বাংলাদেশের কিছু নয়। এটি ব্রিটিশ সরকারের বিষয়। তার ব্যাপারে বাংলাদেশের কিছুই জানা নেই।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, শামীমা বাংলাদেশি নাগরিক নন এবং তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের খবর সংবাদ মাধ্যম থেকে জেনেছে। তার দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে এমন তথ্য সঠিক নয় এবং এই ভুল খবরের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী কেউ আইএস থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। বাংলাদেশের সেই প্রস্তুতি রয়েছে। এ লক্ষে সন্দেহভাজনদের একটি তালিকা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে দেয়া হয়েছে।

এই সন্দেহভাজনদের ভারত হয়ে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসার সুযোগ নেই। তারা একমাত্র বিমানবন্দর দিয়েই ঢোকার চেষ্টা করতে পারে। এমন ধারণা থেকেই বিমানবন্দরগুলোকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

ঢাকাটাইমস/২১ ফেব্রুয়ারি/এএইচ